ছাগল ও কুকুরকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
বিকৃতকাম মানুষ যে কতটা নৃশংস ও পৈশাচিক হতে পারে, তারই প্রমাণ মিলল কেরালার জিশা হত্যাকাণ্ডে। দলিত ছাত্রীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধর্ষক এর আগে বহুবার বিকৃত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে এলাকার ছাগল, কুকুর-সহ বিভিন্ন পশুর সঙ্গে। Sex করার পর সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নিত পশুদের গোপনাঙ্গ।
এই খবর মানবজাতির পক্ষে লজ্জার। জন্তু-জানোয়াররাও এতটা পাশবিক নয়। বিকৃত কাম চরিতার্থ করতে যে মানুষ কতটা নীচে নামতে পারে, তারই নজির সৃষ্টি করেছে কেরালার জিশা ধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম। দিন কয়েক আগে আইনের ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের খবর মনে করিয়ে দিয়েছিল নির্ভয়ার ঘটনাকে।
খালি বাড়িতে যে নৃশংসভাবে তাঁর উপর অমানুষিক অত্যাচার চালানো হয়, তা জেনে শিউরে উঠেছিল তামাম দেশবাসী। তার সারা শরীরে ২০টি ভোজালির কোপ ছিল। কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শরীরের গোপনাঙ্গে কোপানো হয়েছিল। তার জেরে বেরিয়ে পড়ে তাঁর অন্ত্র ও পেটের ভেতরের অন্যান্য অঙ্গ।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত আমিরুল পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে, পশুদের সঙ্গেও এতটাই নৃশংসভাবে বিকৃত কাম চরিতার্থ করে সে। চলতি বছর শুরুর দিকে পেরুমবাভুরের একটি পরিবারের পোষা ছাগলের সঙ্গে অভিযুক্তের Sex করার ভিডিয়ো পুলিশের হাতে আসার পরই তারা আমিরুলকে চিহ্নিত করে।
ভিডিয়োয় দেখা যায়, ছাগলটির গোপনাঙ্গ কেটে নিচ্ছে অভিযুক্ত। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে দিনমজুর ওই ব্যক্তি অবসর সময়ে মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখতে অভ্যস্ত। এই একই কাজে তাঁর বেশ কয়েকজন সঙ্গী-সাথীও রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। সুত্র- এই সময়
মন্তব্য চালু নেই