চোখ ফোলা দেখানোর কারণ ও প্রতিকারের উপায়

আপনি জানেন যে, রাতে যদি ঘুম ভালো না হয় তাহলে সকালে আপনার চোখ ফোলা দেখাতে পারে। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি কারণে আপনার চোখ ফোলা দেখাতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক চোখ ফোলা দেখানোর অন্যান্য কারণগুলোর বিষয়ে।

১। অ্যালার্জি

সিজনাল অ্যালার্জির কারণে চোখ ফুলে যেতে পারে। ধূলা ও মাইটে আক্রান্ত বালিশে মাথা রেখে ঘুমালে এবং বালতির ছাঁচের চিতির কারণেও অ্যালারজিক প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।

২। তাপ

আপনার রুমের পাশেই যদি হিটার থাকে তাহলে চোখ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং অনেক বেশি সংবেদনশীল যায়। এর কারণ তাপের ফলে অক্ষিগোলকের মিউকাস মেমব্রেন শুষ্ক হয়ে যায় বলে চোখে যন্ত্রণার সৃষ্টি করে এবং চোখ ফুলে যায়।

৩। পিরিয়ড

চোখের ফোলা ভাবের জন্য PMS কে দায়ী করা যায়। মাসিক চক্র চোখের পানি ধরে রাখে এবং চোখ ফোলা দেখায়। পিরিয়ডের সময় যেমন ভাবে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয় তেমনি চোখ ফুলে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কয়েকদিন পরেই চোখের ফোলা ভাব চলে যায়।

৪। অ্যালকোহল

অ্যালকোহল কেবল আপনার শরীরকে পানিশূন্যই করে দেয় না চোখকেও শুষ্ক করে দেয়। যারা অ্যালকোহলের সাথে অনেক বেশি লবণাক্ত খাবার খান তাদের চোখের চারপাশের এলাকায় পানি জমে থাকে বলে চোখ ফোলা দেখায়।

৫। হাইপোথাইরয়ডিজম

চোখ ফুলে যাওয়া হতে পারে হাইপোথাইরয়ডিজম এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফল। আপনি যদি হাইপোথাইরয়ডিজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনার চোখের চারপাশে চর্বির মোটা স্তর দেখতে পাবেন যার জন্য চোখ ফোলা দেখায়।

৬। কান্না

কান্নার ফলেও আপনার চোখ ফুলে যেতে পারে। ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি থেকে অশ্রু নির্গত হয় যা চোখের চারপাশের পেশী ফোলার জন্য দায়ী।

৭। সকালে চোখ ফোলা থাকে

আমরা যখন ঘুমাই তখন চোখের পাতা নড়ে না বলেই সকালে ঘুম থেকে জাগলে চোখ ফোলা দেখায়। হাঁটা যেমন পায়ের জন্য উপকারী তেমনি চোখের পাতার নড়াচড়াও চোখের জন্য প্রয়োজনীয়। কিছু মানুষের পায়ে পানি জমে যাওয়ার সমস্যা থাকে। তারা যখন হাঁটাহাঁটি করেন তখন তাদের পায়ের জমে থাকা পানি সড়ে যেতে থাকে। ঠিক তেমনি চোখের পাতার নড়াচড়ার ক্ষেত্রেও একই বিষয় কাজ করে। যাদের শরীরে পানি জমে যাওয়ার সমস্যাটি থাকে তাদের ঘুম থেকে জাগলে চোখ ফোলা দেখায়। ঘুম থেকে জাগার পর চোখ পিট পিট করলে চোখের ফোলা ভাব ১ ঘন্টার মধ্যে কমে যায়।

চোখের ফোলা ভাব কমানোর উপায় :

আপনার চোখ ফুলে যাওয়ার কারণটি ধরতে পারলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারেন আপনি। কোন অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া সাধারণত যে প্রতিকার গুলো কাজ করে তাহল –

– অ্যালার্জির কারণে চোখ ফুলে গেলে আই ড্রপ ব্যবহার করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শে।

– ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

– চোখের ফোলা কমানোর জন্য বরফ ব্যবহার করতে পারেন।

– শসার স্লাইস বা ঠান্ডা টি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।

– লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমাতে হবে।

– শরীরের অতিরিক্ত তরল কমানোর জন্য পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কলা খেতে পারেন।

– চোখে মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপ্টা দিন

– পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম নেয়া প্রয়োজন।



মন্তব্য চালু নেই