চেয়ারম্যান-মেম্বার গ্রুপের সংঘর্ষ : গরীবের ঈদের চালে চেয়ারম্যানের ভাগ
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): ত্রিশালে ঈদ উপলক্ষে দেয়া গরীব-দুস্থদের জন্য ভিজিএফ’র চাল জনপ্রতি ১০ কেজির স্থলে ৬ কেজি দিয়েছেন মোক্ষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এর প্রতিবাদ করায় ইউপি সদস্য খায়রুল ইসলামকে প্রকাশ্যে মারধর ও পিটিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন ও তার লোকজন। খবর পেয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ হাজার ৮শ গরীব-দুস্থদেকে ঈদ উপলক্ষে সোমবার দুপুরে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ চলছিল। কার্ডধারীদের জনপ্রতি ১০ কেজি চাল দেয়ার বরাদ্ধ থাকলেও সেখানে ৬ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এর প্রতিবাদ করেন ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার খায়রুল ইসলাম। এ সময় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন খাইরুল ইসলামের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে পরিষদ থেকে বের করে দিলে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
খাইরুল ইসলাম বাড়িতে যাওয়ার পর ১নং ওয়ার্ডের ভূইয়ার বাজারে চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন মেম্বার গ্রুপের লোকজনের উপর পুনরায় হামলা চালায়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মেম্বার গ্রুপের ৬ জন ও চেয়ারম্যান গ্রুপের ১ জন আহত হয়।
মেম্বার গ্রুপের আহতরা হলেন- খাইরুল ইসলাম ম্বোর (৫৫), সাখাওয়াত হোসেন (২২), সোহান (১৯), হায়দার আলী (৩০) গুরতর আহত অবস্থায় কবীর হোসেনকে (৪০) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে তার ভাই বিপুল মাস্টার আহত হন। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
১নং ওয়ার্ডের মেম্বার খায়রুল ইসলাম জানান, জনপ্রতি চাল ৬ কেজি দেয়া শুরু করলে সঙ্গে সঙ্গেই আমি তার প্রতিবাদ করি। এতে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে আহত করে পরিষদ কার্যালয় থেকে বের করে দেয়।
মোক্ষপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন চাল কম দেয়ার কথা অস্বীকার করে উল্টো অভিযোগ এনে বলেন, ‘খাইরুল মেম্বার আমার ছোট ভাইকে মারধর করেছে।’
এ ব্যাপারে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, মোক্ষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন একজন মেম্বারকে মারধর করেছে বলে আমি শুনেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই