চেয়ারম্যানের মারপিটে জ্ঞান হারালেন প্রধান শিক্ষক

শিক্ষা উপবৃত্তির তালিকা থেকে পছন্দের শিক্ষার্থীর নাম বাদ পড়ায় প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ।

পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার ৮৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে শিক্ষাবৃত্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকের কাছে দুজন মেধাবী শিক্ষার্থীর নামের তালিকা চেয়ে পাঠায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

এ সুযোগে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ তার এলাকার ১৪টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করে প্রধান শিক্ষকদের দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।

কিন্তু চেয়ারম্যানের দেয়া তালিকা থেকে পাথাল দৌড় কুসুমকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর নাম বাদ পড়ে।

রোববার উপজেলা পরিষদ হলরুমে শিক্ষা বৃত্তির টাকা দেয়া শেষে ওই শিক্ষার্থীর না বাদ পড়ার সূত্র ধরে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট করেন চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ।

এসময় প্রধান শিক্ষক জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের দেয়া তালিকায় তিনি শুধু স্বাক্ষর করেছেন। উপজেলা পরিষদ চত্বরে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ যা বলেছেন তা বলতেও ভয় পাচ্ছেন তিনি।

এ ব্যাপারে খোকসা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।



মন্তব্য চালু নেই