চুয়াডাঙ্গায় পারিবারিক অশান্তির জেরে হামলা: মহিলাসহ উভয়পক্ষে আহত ৭
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ৩নং কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কোমরপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে কন্যা পক্ষের উপর চালিয়েছে ইয়াকুব গং এতে উভয় পক্ষে মহিলাসহ ৭ জন মারাত্মক আহত হয়েছে তার মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ।
জানাগেছে কোমরপুর গ্রামের মুসাবক্কার মেয়ে মাহিমা খাতুন (২০) এর সাথে একই গ্রামের মাঠপাড়ার সহিদুলের ছেলে ইয়াকুবের সাথে আনুমানিক দুবছর পুর্বে বিবাহ হয়। মাহিমার পরিবার জানিয়েছে বিয়ের পর থেকেই ইয়াকুব মোটা অংকের যৌতুকের দাবিতে কারনে অকারনে মাহিমার উপর চালাতো অমানসিক নির্যাতন চালাতো। এর মধ্যে মাহিমার কোলজুড়ে আসে একটি সন্তান ইয়াকুবের দাবিকৃত যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় মাহিমাকে আনুমানিক ১বছরপূর্বে মারধোর করে তাড়িয়ে দেয় ইয়াকুব সহ তার পরিবার। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
পরবর্তীতে ইয়াকুব ৬/৭ মাস পূর্বে সুন্দর ভাবে সংসার করায় আশায় সবকিছু ভুলে তার স্ত্রী মাহিমা খাতুনকে আনতে যাই কিন্তু মাহিমার পরিবার ইয়াকুবকে বাড়ীতে আশা মাত্রই বেদম প্রহার করে। ইয়াকুব মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে প্রায় ১সপ্তাহ যাবৎ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে মাহিমার ভাই ইয়াছিন খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য বাড়ীথেকে বের হয়ে মাঠের উদ্দেশে রওনা দিলে পথিমধ্যে ইয়াকুবসহ তার লোকজন ইয়াছিনকে রড বাটাম দিয়ে মেরে রাস্তায় ফেলে রাখে খবর পেয়ে ইয়াছিনের পরিবারের লোকজন ছুটে আসলে তাদেরকেও মেরে মারাত্মক আহত করা হয় আহতরা হলেন আলতী খাতুন (৫০) মোছাব কাক্কা (৬০) আমিনুল (২৮) মিরাজুল (২৪) ইয়াছিন (২২) আলিম (৩২) অপর দিকে ইয়াকুব আহত হয়েছেন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। বর্তমানে পাড়াটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আহতদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে ইয়াছিন ও আলোতি খাতুন অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মাহিমার পরিবারের পক্ষথেকে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল জানা গেছে।
মন্তব্য চালু নেই