চুল পাকা রোধে ৮ খাবার

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুল পাকবেই কিন্তু তা বলে অল্প বয়সেই চুল পেকে গেলে তা অনেকেরই অস্বস্তির কারণ হয়। বার্ধক্য এবং জিনগত কারণ ছাড়াও অতিরিক্ত স্ট্রেস এবং শরীরে পুষ্টির অভাব থেকেও চুল পেকে যেতে পারে তাড়াতাড়ি।

নিয়মিত স্ট্রেস-রিলিফ এক্সারসাইজ করলে এবং প্রয়োজনমতো ভিটামিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ খাবার খেলে অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নীচে রইল তেমনই ৮টি খাবারের কথা। এগুলি পাকা চুল রোধ করে যেমন পাশাপাশি স্ক্যাল্প ভাল রাখে এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

১. আখরোট: আখরোটে থাকে প্রচুর পরিমাণ কপার বা তামা। এই তামাই চুলে মেলানিন উৎপন্ন করে, যার জেরে চুল থাকে কালো।

২. শেলফিশ: যে কোনও খোলাযুক্ত সামুদ্রিক প্রাণী যেমন, অয়স্টার, চিংড়ি বা কাঁকড়ায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ওমেগা-৩ চুলে পাক ধরা আটকায়।

৩. লিভার: প্রাণীজ লিভার বা মেটে ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ হয়। এই ভিটামিনটি যেমন রক্তাল্পতা দূর করে তেমনই চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

৪. ব্রকোলি: চুলে পাক ধরা আটকাতে শরীরে প্রয়োজন পরিমিত পরিমাণ ফোলিক অ্যাসিড যা প্রচুর অনুপাতে পাওয়া যায় ব্রকোলিতে।

৫. সামুদ্রিক মাছ: স্যামন, টুনা ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এগুলি প্রতিদিন বাজারে না পেলেও পমফ্রেট, ভেটকি, পারশে ইত্যাদি খেলেই চলেন।

৬. সূর্যমুখী বীজ: সূর্যমুখী বীজের তেলে ভিটামিন ই, আয়রন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি৬ রয়েছে। রান্নায় তাই সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করা ভাল। এছাড়া এই তেল দিয়ে বাদামের পেস্ট তৈরি করে স্ক্যাল্পে লাগালেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

৭. ডাল: ডালেও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি১২ এবং বি৯। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একবাটি ডাল রাখা খুবই জরুরি।

৮. কাবলি ছোলা: কাবলি ছোলা ভিটামিন বি সমৃদ্ধ একটি খাবার। রোজ না হলেও সপ্তাহে দু’তিনদিন খেলেও উপকার হবে।



মন্তব্য চালু নেই