চুল-দাড়ি-গোঁফ : সুন্দর দেখাতে যা জানা দরকার প্রত্যেক পুরুষের
চরিত্র, মানানসই পোশাক, চলাফেরা এ সবই দিয়ে বিচার হয় একজন মানুষের। একজন মানুষের জন্য সুন্দর চরিত্র যেমনটা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনই সবার সামনে নিজেকে ফুটিয়ে তোলার বিষয়টাও।
নিজেকে কেমন দেখাচ্ছে সে বিষয়ে প্রত্যেক পুরুষের সচেতন থাকা উচিত। আর এ কাজে কি কি করতে হবে তাও জানা দরকার। চুল কিভাবে মানানসই করে কাটা যায়, দাড়ি-গোঁফ কেমন হবে ইত্যাদি বিষয় জানা থাকা জরুরি। এখানে বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন সেই পরামর্শ।
১. যখনই চুল কাটতে যাবেন তখনই নরসুন্দরকে বলুন আপনি কতদিন ধরে চুল কাটেন না। শেষ কবে চুল কেটেছেন তা জানা দরকার কেশবিন্যাসকারীর। তারা জানেন কতদিনের চুলকে কিভাবে কাটতে হবে। যদি শেষ চুল কাটার সময় যেমন দেখাচ্ছিলেন তেমনি হতে চান, তবে তা নরসুন্দরকে বলুন। আর ভিন্ন কিছু চাইলে তাও বলুন।
২. মুখের আকৃতি অনুযায়ী চুলের স্টাইল ঠিক করুন। এ বিষয়ে নরসুন্দররাও ভালো বোঝে। লম্বাটে মুখের জন্য দুই পাশে এবং ওপরের দিকে চুল কিছুটা বড় রাখতে বলুন।
৩. দুই বার চুল কাটার মধ্যে এক মাসের ব্যবধান রাখুন। খুব ঘন ঘন বা বেশি দেরি করে চুল কাটা উচিত নয়। এক বা দেড় মাস পর পর চুল কাটা উচিত।
৪. সাধারণত পুরুষদের মাথার সামনের দিকে দুই পাশে চুল খালি হয়ে যায়। মাঝখানের অংশের দুই পাশের চুলগুলো খুব বেশি ছোট বা বড় রাখবেন না। সেখানে এমন কিছু করবেন না যেনো সমস্যা খুব বেশি চোখে পড়ে।
৫. রেজর ব্যবহারে প্রদাহের সৃষ্টি হয় অনেকের। এ থেকে বাঁচতে প্রথমেই দাড়ি-গোঁফ ভিজিয়ে নিন। পরিষ্কারের আগে শেভিং তেল বা ফোম বা জেল দিয়ে নরম করে নিন। মুখে দাড়ি ও গোঁফ যেদিকে গেছে সেদিকেই রেজর চালান। মোটামুটি ৫ মিনিট সময় রেজর চালাতে ব্যয় করতে পারেন। শেভিং শেষে বাম বা জেল লাগাতে পারেন।
৬. সপ্তাহে তিন বার চুল পরিষ্কার করুন। এটা অবশ্য নির্ভর করে চুলে ময়লার ওপর। যদি প্রতিদিন ধুলার মধ্যে কাজ করেন তবে প্রতিদিনই শ্যাম্পু করা উচিত। তবে এমনিতে সপ্তাহে তিন বার চুল পরিষ্কারের নিয়মটি অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই সমর্থন করেন।
৭. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এটা কেবল সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকেই বাঁচার জন্য নয়, এটি ত্বকের ক্ষতি পুষিয় নেয়। মুখের ব্রনও দূর করতে পারে সানস্ক্রিন। এ তথ্য দেন ডার্মাটোলজিস্ট ড. টেরেস কিয়ানি। এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন তার এসপিএফ ৩০।
৮. প্রতিদিন কতবার মুখ ধুয়ে থাকেন? নিশ্চয়ই একবার হলেও ধুয়ে নেন আপনি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অন্তত দুইবার এ কাজটি করা উচিত।
৯. সঠিকভাবে অ্যান্টিপারস্পাইর্যান্ট ব্যবহার করুন। বগলে ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের আদর্শ সময় রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। এতে সব ব্যাকটেরিয়া দূর হয় পরদিন বাজে গন্ধ সৃষ্টি হয় না।
১০. চোখে ক্লান্তির ছাপ দূর করুন ডি-পাফারের মাধ্যমে। এটি চোখের নিচের কালোভাব দূল করে। অনেকে আবার চোখের নিচের ত্বকে ক্যাফেইন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। এতে রক্তনালী প্রসারিত হয় ক্লান্তিভাব চলে যায়। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
মন্তব্য চালু নেই