চুলের আকর্ষণীয়তা

নিজের ক্যারিয়ারের ব্যপারে যতটা গুরুত্ব থাকে সাজগোজের ব্যপারে অনেকেরই তা থাকে না। অধিকাংশ পুরুষ দায় সারেন শুধু নিয়ম করে চুল কেটে আর শ্যাম্পু করে। কিন্তু বাড়তি যত্নের ব্যপারে থাকে উদাসীনতা। অথচ দিনের বেশিরভাগ সময় বাসার বাইরে থেকে চুলের বারটা বাজিয়ে বসেন। একটা সময় গিয়ে গিয়ে দেখা যায় চুলে খুশকি, অধিক চুল পড়া, অকালে টাক মাথা। তাই চুল থাকতে তার মর্ম বুঝে পেয়ে যান আকর্ষণীয় মাথাভরা চুল। আর তাই আপনাকে করতে হবে…

উপযুক্ত শ্যাম্পু নির্বাচন

বাজারে বর্তমানে শুধু ছেলেদের চুলের জন্য উপযোগী অনেক শ্যাম্পু পাওয়া যায়। কিন্তু সপ্তাহে কয়দিন শ্যাম্পু করতে হবে, চুলের ধরণের সঙ্গে মিলিয়ে কি ধরণের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে এই ব্যাপারগুলো অনেকেই জানে না। অনেকে আজেবাজে কিংবা চুলের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন ব্র্যান্ড ব্যবহার করে চুলের ক্ষতি করে বসেন। তাই নিজের চুলের ধরণের সঙ্গে মিলিয়ে ভাল একটি শ্যাম্পু বেছে নিন।

শ্যাম্পুর পরে অবশ্যই কন্ডিশনার
শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহারে চুল ঝরঝরে হয়ে ওঠে। তাই শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কিন্তু কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় লাগলে ক্ষতি হওয়ার ভয়ে অনেকে ঝামেলা করতে চান না। তাছাড়া ছেলেদের ছোট চুল হওয়ায় কন্ডিশনার ব্যবহার করাও কষ্টের। সেক্ষেত্রে এক মগ পানিতে লেবুর রস দিয়েও চুল ধুয়ে নিতে পারেন।

মাথার ত্বক ম্যাসাজ করা

মাথায় তেল লাগানোর সময় বা শ্যাম্পু করার সময় আঙ্গুল দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ত্বক ম্যাসেজ করুন। এতে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া দিনে কয়েকবার মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে, চুলও ঠিকমতো পুষ্টি পাবে।

জেল বা স্প্রে নয়

ছেলেরা চুলে জেল বা হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করের। বেশি সময় রাখলে তাতে সহজেই ময়লা ধুলোবালি আটকে যায়। এছাড়া লম্বা সময় ধরে জেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বকের সমস্যা হতে পারে। তাই দীর্ঘ সময় বাইরে থাকতে হলে জেল ব্যবহার না করায় ভালো। ব্যবহার করলেও বাসায় ফিরে দ্রুত ধুয়ে ফেলতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই