চুরির অপবাদে দুই শিশুকে হাত-পা বেঁধে পেটালো ইউপি চেয়ারম্যান

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় মোবাইল চুরির অপবাদে দুই শিশুকে হাত পা বেঁধে পিটিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার বিকালে উপজেলার কলমাইদ বাজারে এ ঘটনার পর ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলমাইদ গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী খোকন মিয়ার একটি মোবাইল সেট হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় একই গ্রামের শাজাহানের ছেলে মারুফ (১৪) ও হযরত আলীর ছেলে শাহীনের (১২) বিরুদ্ধে ওই মোবাইল চুরির অপবাদ দেয়া হয়।

এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে কলমাইদ বাজারে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মামুদনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই শিশু দুটিকে হাত-পা বেঁধে ঝিকার ডাল দিয়ে পিটিয়ে গুরতর আহত করে।

এসময় ইউপি সদস্য লূৎফর রহমান মানু, সাবেক ইউপি সদস্য মো. লাল মিয়া, রফিক ও মালেকসহ অনেকে ছিলেন।

নির্যাতনের স্বীকার শিশু মারুফের বাবা শাজাহান জানান, আমাদের গ্রামের খোকনের একটি মোবাইল সেট হারিয়ে গেলে পূর্বশক্রতার জের ধরে আমার ছেলে মারুফ ও তার বন্ধু শাহীনকে মোবাইল চোর সন্দেহ করে সালিশ ডাকে। সালিশে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন কোনো প্রমাণ ছাড়াই আমার ছেলে মারুফ ও শাহীনকে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে।

তিনি বলেন, ‘আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি (ইউপি চেয়ারম্যান) আমাকেও মারপিট করেন।’

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ওই শিশু দুটি ও তার পরিবার বংশগত চোর। ভবিষ্যতে চুরির ঘটনা থেকে এদেরকে বিরত রাখতে কিছুটা শাসন করা হয়েছে।’

নাগরপুর থানার ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, মোবাইল চুরির অপবাদে কলমাইদ বাজারে দুইটি শিশুকে ইউপি চেয়ারম্যান নিজে পিটিয়েছেন বলে শুনেছি। ভূক্তভোগী পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই