দিনাজপুর এর কিছু খবর :

চিরিরবন্দরে শিবিরের ককটেলে ডিবির এসআই আহত, আটক ৬

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে শিবিরের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে সোবাহান আলী (৪২) নামে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন।

রোববার (০১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রাণীরবন্দর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিবিরের ছয় কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

দিনাজপুর চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে রাণীরবন্দর বাজার এলাকায় দিনাজপুর গোয়ান্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল নাশকতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়।

এসময় শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে বেশ কয়েকটি ককটেল বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। এতে এসআই সোবাহান আহত হন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ (দিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে, রাণীরবন্দর বাজার এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিবিরের ছয় জনকে আটক করা হয় বলে জানান ওসি।

 

আজ উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত ফুটবল যাদুকর সামাদের ৫১তম মৃত্যু বার্ষিকী
উপ-মহাদেশের ফুটবল জগতের কিংবদন্তী ফুটবল যাদুকর সামাদ। উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে অপুর্ব ক্রীড়া শৈলীর প্রদর্শন করে ফুটবল জগতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই ক্রীড়াবিদ ১৯৬৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারী পার্বতীপুরে মৃত্যু বরন করেন।

Dinajpur SAMAD PIC-02.02.2015সোমবার তার ৫১তম মৃত্যু বর্ষিকী। তার বসবাসকৃত রেলের বাসা সহ বেশকিছু স্মৃতি চিহ্ন প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে তার স্মৃতি চিহ্নগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। ফুটবল যাদুকর সামাদকে বলা হয় কিংবাদন্তী মহানায়ক, যাদুকর উপাধি যাদু বিদ্যা জানার জন্য নয়, ফুটবল খেলার অপুর্ব দক্ষতা এবং উন্নতমানের ক্রীড়া কৌশল প্রদর্শনের জন্যই তার এ যাদুকর উপাধি।

৯১৫ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল এই ২৩ বছর ছিল সামাদের খেলোয়াড়ী জীবন। তিনি ছিলেন একজন রেল কর্মচারী। সে সময় ইবিআর নামে যে, রেলওয়ে ফুটবল টিম ছিল সামাদ তাতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। সেই কারনে ইবিআর এ সামাদ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। সামাদের ২৩ বছর খেলোয়াড়ী জীবনে এমন সব বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে যা খেলার জগতে উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। দেশে এবং দেশের বাহিরেও তার অভিনব খেলা দেখে মানুষ হতবাক হয়েছে। তার যাদুকরী ক্রীড়া কৌশল দেখে দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়েছে। করতালী দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে।

একবার খেলার পূর্ব মহূর্তে মাঠের চারিদিকে পায়চারী করে এসে সামাদ ক্রীড়া কমিটির নিকট অভিযোগ করলেন এ মাঠ আন্তর্জাতিক মাপ হিসেবে ছোট আছে বিধায় এ মাঠে আমাদের টিম খেলতে পারে না। পরে মাঠ মাপার পর তার অভিযোগ সত্য বলে প্রমানিত হয়েছে। আরেকবার মাঠের মধ্যস্থল থেকে বল নিয়ে সব খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে বল ড্রিবলিং করে নিক্ষেপ করলেন গোলে, বল গোলে প্রবেশ না করে গোল পোষ্টের কয়েক ইঞ্চি উপর দিয়ে বাহিরে চলে গেলে রেফারী বাঁশী বাজিয়ে বলকে আউট ঘোষনা করলেন। কিন্ত সামাদ তা গোল হয়েছে বলে চ্যালেঞ্জ করলেন। আমার শটে নিশ্চিত গোল হয়েছে।

সামাদের শটের মেজারমেন্ট কোন দিন ভুল হয় নাই।গোল পোষ্ট উচ্চতায় ছোট আছে। মেপে দেখা গেল সত্যিই তাই। তার খেলোয়াড়ী জীবনের এমন বহু ঘটনা আজও দেশ বিদেশের ক্রীড়াংগনে অগনিত সামাদ ভক্তের মুখে মুখে। যাদুকর সামাদ ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে চলে আসেন ও বসবাস করতে শুরু করেন দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে। রেলওয়ে জংশনের জন্য খ্যাত বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের বৃহৎ রেলওয়ে জংশন পার্বতীপুরে ফুটবল যাদুকর সামাদ ছিলেন।

যদিও রেলওয়ের কোন পাটফরম ইন্সপেক্টর পদ নেই তবুও যাদুকর সামাদের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ এই পদ সৃষ্টি করেছিলেন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে পার্বতীপুর জংশনে পাটফরম ইন্সপেক্টর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি রেলওয়ে সাহেব পাড়া কলোনীতে টিÑ১৪৭ নম্বর বাসায় থাকতেন এবং মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্য়ন্ত তিনি এই বাসাতেই ছিলেন। জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের ভুরী গ্রামে। এই গ্রামেই ১৮৯৫ সালের ৬ ডিসেম্বর এক নিভৃত পরিবারে তাঁর জন্ম।

‘জাদুকর সামাদ’ নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম সৈয়দ আবদুস সামাদ। তিনি ১৯৬৪ সালে ২ ফেব্রুয়ারী পার্বতীপুরে মৃত্যু বরন করেন। পার্বতীপুর শহরের ইসলামপুর কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়। আজ আমারা বিদেশী খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্ব করে তাদের ছবি গায়ের জামায় ছাপিয়ে ঘুরে বেড়াই। শোনা যায়, ফুটবল যাদুকর সামাদ এর সোনার মুর্তি বিট্রিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে। আমরা বিশ্ব নন্দিত ফুটবল যাদুকর সামাদকে কতটুকু মূল্যায়ন করছি।

পার্বতীপুরে রেলওয়ের নির্মিত একটি মিলানায়তন আছে। যা ফুটবল যাদুকর সামাদের নামে রাখা হয়েছে, সামাদ মিলানায়তন। যদি আমরা নিম্ন শ্রেনীর পাঠ্যপুস্তুকে সামাদের ছবি সহ জীবনী তুলে ধরি তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে ফুটবল যাদুকর সামাদ এর নাম চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে। পার্বতীপুর শহরের ইসলামপুর কবর স্থানে সমাহিত করার দীর্ঘ ২৫ বছর অবহেলিত অরক্ষিত থাকার পর ১৯৮৯ সালে ৫২ হাজার টাকা খরচ করে নির্মান করা হয় স্মৃতি সৌধ। এখনো এখানে রয়েছে সামাদ রেলওয়ে মিলনায়তন যা ১৯৪৯ সালে ফুটবল যাদুকর সামাদের নামে উৎসর্গ করা হয়েছিল। রয়েছে তার বসবাসকৃত রেলের বাসা সহ বেশকিছু স্মৃতি চিহ্ন। কিন্তুু প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে তার স্মৃতি চিহ্নগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে।

 

পার্বতীপুর তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের খাল খনন কাজ বন্ধ
পার্বতীপুরে অধিগ্রহনকৃত জমির টাকা না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের সেচ খাল খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
গত শনিবার সকালে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলঢাকা পওর শাখা-৫ এর শাখা কর্মকর্তা শাহজাহান আলী প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র ও লোকজন সহকারে পার্বতীপুর উপজেলার পূর্ব হুগলীপাড়ার পূর্বপার্শ্ব দিয়ে চিহ্নিত অধিগ্রহনকৃত জমিতে খাল খনন কাজ শুরু করে।

এ সময় জমির মালিকদের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় চান্দেরডাঙ্গা, পূর্বহুগলীপাড়া, দরিখামার গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের মধ্যে Dinajpur Pic-02.02.15২-৩শ’ নারী-পুরুষ এসে অধিগ্রহনকৃত জমির টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বুলডোজারের সামনে দাড়ায়ে খনন কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে কর্মকর্তা মেশিনপত্র নিয়ে স্থান ত্যাগ করে চলে যান।

জমির মালিক শামসুল হক, মমিনুর রহমান, মর্তুজা আলী, আলফাজ উদ্দিন, মমেজা খাতুন, আঃ ফাত্তাহ, মশিউর রহমান, হাফিজ উদ্দিন, আরমিনা বেগম, আঃ রবসহ জানান, আমাদের জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে, এজন্য আমরা এখন পর্যন্ত কোন চাষাবাদ করিনি। সেচ খালের জন্য অধিগ্রহন করা জমির টাকা আমাদের পরিশোধ না দিয়ে জমিতে খাল খনন কাজ করতে এসেছে, আমরা টাকা না পাওয়া পর্যন্ত জমিতে কোন কাজ করতে দিবেনা ক্ষতিগ্রস্তরা।

এ ব্যাপারে পাউবো’র কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেন, স্বাবর সম্পত্তি অধিগ্রহন ও হুকুমদখল অধ্যাদেও, ১৯৮২ (২নং অধ্যাদেশ) এর ৪(৩) (এ) ধারামতে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প (২য় পর্যায়) ১ম ইউনিট এর অধীন বগুড়া সেচ খাল খনন ও নির্মান প্রকল্পে ০২/২০১৩-১৪ নং এল,এ কেছে পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর মৌজার ৫৭ দশমিক ৬৯ এবং খামার জগন্নাথপুর মৌজার ১৩ দশমিক ৬০ একর জমি গত বছর চুড়ান্ত ভাবে অধিগ্রহন করা হয় এবং গত ৭ ডিসেম্বর জমি বুঝে নিয়ে সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ সমস্ত জমি কেনার জন্য আমরা ইতিমধ্যে এল,এ ফান্ডে ২৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। এলাকাবাসী টাকা না পেলে আমি এর জবাব দিতে পারবো না বলে তিনি জানান।

 

দিনাজপুরে ২য় দিনেও সর্বাত্বক হরতাল ও বিক্ষোভ মিছিল
২০ দলীয় ঐক্যজোটের আহবানে ৭২ ঘন্টার হরতালের সোমবার ২য় দিনে দিনাজপুরে সর্বাত্বক হরতাল পালিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি, ছাত্রদল,যুবদল, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবির বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি লুৎফর রহমান মিন্টু ও সাধারন সম্পাদক মুকুর চৌধুরী জানান, হরতালের দ্বিতীয় দিনে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করেছে নেতাকর্মীরা। রোববার সন্ধার পর শহরের বাহাদুর বাজার, মুন্সিপাড়া, লিলির মোড়ে ঝটিকা মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা। দিনাজপুর থেকে দুরপাল্লার কোন বাস ও ট্রাক ছেড়ে যায়নি।

সকল দোকান পাট বন্ধ ছিল। স্কুল-কলেজও বন্ধ ছিল। বিজিবি পাহারায় ২/১টি ট্রাক ও বাস দিনাজপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছারা হরতাল সফল ভাবে পালিত হয়েছে। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

শহর জামায়াতের মিছিলঃ এদিকে গতকাল সোমবার দিনাজপুরে হরতাল সমর্থনে মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর শহর শাখা।

গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারের দাবিতে ও তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবিতে ৭২ ঘন্টা হরতালের ডাক দেয় ২০ দলীয় জোট। এরই অংশ হিসেবে হরতালের ২য় দিনে দিনাজপুর শহর জামায়াতের পক্ষ হতে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করা হয়। মিছিলটি শহরের স্টেশন রোড থেকে শুরু হয়ে ষষ্টিতলা গিয়ে শেষ হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর শহর জামায়াত ও শিবিরের অসংখ্য নেতা-কর্মী। এ ছাড়াও শহরের মালদাহ্পট্টি সহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও পিকেটিংয়ের মাধ্যমে সর্বাত্মক হরতাল পালন করা হয়।
আইনজীবী ফোরামের : দিনাজপুরে হরতালের দ্বিতীয় দিনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জেলা ইউনিট।
সমাবেশে আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মো. আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে ও ফোরাম নেতা আবু মাসুদ ওবায়দুল্লাহ তারেক’র উপস্থাপনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আ ন ম হাবিবুল্লাহ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. মো. আনিসুর রহমান চৌধুরী, জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি মো. আবু আলী, আইনজীবী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ ইব্রাহিম, সিনিয়র আইনজীবী গোলাম ফারুক প্রমূখ।

মিছিল ও সমাবেশে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল আমিন, জেলা আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম, মো. আবু তালেব, মো. আসির উদ্দীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম খোকন, মো. রাশেদুল ইসলাম মানিক, কোষাধ্যক্ষ এমাম আলী, প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল বাকী, দপ্তর সম্পাদক মো. রইস উদ্দীন, সহ-দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. মোঃ তারিকুল ইসলাম (তারেক), জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান বিপুল, আইনজীবী ফোরাম নেতা মো. আতাউর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান, শহিদুল্লাহ, মো. সাইফুল ইসলাম, গোলাম ফারুক, মো. নিয়ামুল হক চৌধুরী, মো. আইনুল হক, মো. তোফায়েল আহমেদ বকুল, মো. সুলতান, মো. আজেদুর রহমান, মো. সিরাজুস সালেকিন, বরকত আলী শাহ, মো. নজরুল ইসলাম-৫, মো.সৈকতসহ প্রায় শতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহন করেন



মন্তব্য চালু নেই