চিরিরবন্দরে রমযানের উপহার হিসাবে নিম্ন আয়ের মানুষ গরুর মাংস কিনতে পারছেনা
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। কসাইরা সিন্ডিকেট করে মাংসের দাম বৃদ্ধি করেছে বলে সাধারন ক্রেতাদের অভিযোগ। ১৫/২০ দিন আগে গরু মাংস কেনা-বেচা হতো ৩৪০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি দরে। দাম বৃদ্ধি যৌত্তিক কোন কারন ব্যাখ্যা করতে পারেনি বিক্রেতারা। এদিকে দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা গরুর মাংস কিনতে পারছে না।
স্থানীয় ভোক্তারা বলছেন গ্রামীন হাট বাজার গুলোতে বাজার মনিটরিং না থাকায় কসাইরা তাদের ইচ্ছেমত দাম বৃদ্ধি করে চলেছে। তারা ডিজিটাল স্কেল ব্যবহার না করে দাঁড়িপাল্লার ওজনে মাংস বিক্রি করছেন। মাংস বিক্রিতে রয়েছে ওজনের মারপ্যাচ। এর ফলে প্রতিনিয়ত প্রতারনার শিকার হচ্ছেন সাধারন ভোক্তারা। অভিযোগ ওঠেছে, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশু যবাই করা হয় না। পশুর দেহে পৌর স্বাস্থ্য পরিদর্শকের সীল থাকেনা অধিকাংশ ক্ষেত্রে। এছাড়া প্রানী সম্পদ অফিসারকে অবহিত না করে হরহামেশাই রোগাক্রান্ত গরু যবাই করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৯-৬-১৬) সকাল সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরে বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস বেচা কেনা হচ্ছে ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকায়। কসাইরা বলছেন, রমজান মাসে গরুর মাংসের দাম আরো বাড়বে। গত এক মাস আগে রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজার থেকে শুরু করে গ্রামের হাট বাজারগুলোতে প্রতি কেজি গরুর মাংস বেচাকেনা হতো সর্বোচ্চ ৩৬০ টাকা কেজি।
ক্রেতা সাতনালা ইউনিয়নের কৃষক হাচেন আলী বলেন, আমি ছোট গেরস্থ। হাতে টাকা না থাকায় দীর্ঘদিন গরুর মাংস কিনতে পারিনি। এছাড়াও ধানের দাম না থাকায় প্রয়োজনীয় কোন খরচাদি করতে পারিনি। বাড়ীতে মেহমান আসায় বাধ্য হয়ে মাংস কিনতে এসেছি।
ভ্যান চালক আনিচুর রহমান বলেন, গরুর গোস্ত (মাংস) কেনা হামার দারা হবার নায়। খাওয়াও হবার নায়। এ্যালা গরুর গোস্তের দাম (মাংসের) ৪০০ টাকা কেজি। সারাদিন ভ্যান চালে যে কামাই হয়, হারা কোনঠে থাকি গোস্ত কিনে খামো বাহে।
রানীরবন্দর বাজারের মাংস বিক্রেতা ও কসাই মমিন হোসেন ও সামসুল জানান, গত ১৫ দিন আগে যে গরু ৩০ হাজার টাকায় কিন ছিলাম সেই একই ধরনের গরু এখন ৩৭ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। এছাড়া চামড়ার কোন দাম নাই। ৩৭ হাজার টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হয় মাত্র ১ হাজার ৫শ টাকা।
সুইয়ারী বাজারের মাংস ব্যবসায়ী হামিদ বলেন, রমজান মাস রোজাদার মানুষ ভাল ভাল খায়। সে কারনে বাজারে গরুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের রেটে আর মাংস বিক্রি করে পোষায় না। তিনি আরো বলেন রমজানে দাম আরো বেশী হতে পারে।
তাই সাধারন মানুষ সংশ্লিষ্ট কুর্তপক্ষ ও প্রশাসন উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং এর মাধ্যমে নিধারিত মূল্যে নিধারণের দাবী জানায়।
মন্তব্য চালু নেই