চিকিৎসা খরচ বাঁচাতে প্রেমিকার দাঁত উপড়ান প্রেমিক !

‘প্রেমিকাদের দাঁতের চিকিৎসার খরচ বাঁচাতে চাইতেন’ এমন একজন প্রেমিক যখন আদালতের কাঠগড়ায়। তখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে প্রেমিকের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে।

কিন্তু এর পিছনে কি ঘটেছিল ? প্রেমিকের ব্যাপারে অভিযোগ মিলনের সময় বলপ্রয়োগ করে প্লায়ার্স দিয়ে প্রেমিকার দাঁত তুলে ফেলতেন তিনি। কয়েক বছরের ব্যবধানে এভাবে চারজন নারীর দাঁত তুলে ফেলেছেন তিনি।আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এ অভিযোগ স্বীকার করলেও অভিযুক্ত পুরুষটি বলেছেন, ‘প্রেমিকাদের দন্ত চিকিৎসকের খরচ বাঁচাতেই ওই ঘটনা ঘটাতেন তিনি।’

নিউজিল্যান্ডের একটি আদালতে বুধবার ফিলিপ লায়েল হ্যানসেন নামের ওই ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

গত সাত দিন ধরে চলা এই মামলার শুনানিতে নিউজিল্যান্ডে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আন্তর্জাতিক নানা গণমাধ্যমেও শিরোনাম হয়েছে এই নৃশংসতার খবর। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া লায়েল হ্যানসেনের বয়স এখন ৫৬ বছর। দাঁতের চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো পেশাদার শিক্ষা নেই তাঁর। আর প্লায়ার্স দিয়ে দাঁত তুলে ফেলার সময় কোনো ধরনের চেতনানাশকও ব্যবহার করতেন না তিনি।

নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনের আদালতে এই মামলাটি হয়। শুনানিতে জানা যায়, নব্বইয়ের দশকেই প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ওই চার নারীর দাঁত তুলে নিয়েছিলেন হ্যানসেন। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১০টি অভিযোগ আনা হলেও ছয়টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। এগুলো হলো-ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করে আহত করার দুটি অভিযোগ, পুরুষ হিসেবে নারীকে আঘাত করার দুটি অভিযোগ, অশোভন আঘাতের দুটি অভিযোগ এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আহত করার আরেকটি অভিযোগ।

আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে হ্যানসেনের সাবেক প্রেমিকা ওই নারীরা জানান, যৌন মিলনের সময় বলপ্রয়োগ করে প্লায়ার্স দিয়ে তাঁদের দাঁত তুলে ফেলেছেন হ্যানসেন। শোবার ঘরে এবং পার্ক করে রাখা গাড়িতে তিনি ওই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছেন বলেও ওই নারীরা জানিয়েছেন। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এই অভিযোগ স্বীকার করলেও হ্যানসেন জানান, ‘প্রেমিকাদের দাঁতের চিকিৎসার খরচ বাঁচাতে চাইতেন’ বলেই ওই নারীদের সঙ্গে তিনি এমন কাজ করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই