চিকিৎসকরা বলছে মা-মেয়ে ধর্ষণের শিকার

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মা ও তাঁর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।

গত ১১ জুন ওই মা ও মেয়ে নদীতে ট্রলারে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রহিম মীর (৩৪), সহসভাপতি নূর আলম মল্লিক (৩৫), ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মো. সোহেল মৃধাসহ (৩২) পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ১২ জুন অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-ছয়জনের নামে বাউফল থানায় মামলা হয়।

ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে মাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, যা জোরপূর্বক হয়নি। তবে মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।’

ডাক্তারি প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন গণধর্ষণের বিষয়ে গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট ডাক্তারি পরীক্ষার প্রধান পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার সেলিনা রহমান।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নূর আলম। অন্য আসামিরা পলাতক আছে।



মন্তব্য চালু নেই