চারদিন ধর্ষণের পর কিশোরীকে খুন করল ‘ভূত’

বেশ কিছুদিন ধরেই পেটের ব্যথা ও মানসিক সমস্যায় ভুগছিল পাকিস্তানের মেয়ে সারা। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে বাড়ির লোক মনে করে সারাকে ভূতে ধরেছে। তাই মেয়েটির ঘাড় থেকে ভূত নামানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয় একটু দূরের গ্রামের এক পীর, জিন্দওয়াড়ার কাছে।

পীরবাবা চারদিন সারাকে তার কাছে রেখে যাওয়ার কথা বলেন। চারদিন পর ওই পীর যখন সারাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় তখন আর তার শরীরে প্রাণ ছিল না। জিন্দওয়াড়া কিশোরীর মাকে বলেন, ‘এক দুষ্ট আত্মা দখল করেছিল সারার শরীর। সেই আত্মা এতোটাই শক্তিশালী ছিল যে তার হাত থেকে আপনার মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না!’

সারার মৃত্যু যে ‘ভূত’র হাতেই হয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য মেয়েটির ঘাড় মটকে ভেঙে দেয়া হয়। পীরবাবার এই ব্যাখ্যাকে আল্লাহর ইচ্ছা বলে বাবা-মা মেনে নিলেও মানতে পারেননি স্থানীয় সমাজকর্মী ড. ওয়াইরাম। তিনি এ ঘটনার তদন্তের দাবি করেন।

তার দাবি অনুযায়ী তদন্তও করা হয়। আর সেই তদন্তে জানা যায়, সারার ওপর ভর করা ‘দুষ্ট আত্মা’ আর কেউ নন স্বয়ং পীরবাবাই। টানা চারদিন ধরে নির্মমভাবে তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। কিন্তু অসুস্থ শরীরে এতো অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার মৃত্যু হয়।



মন্তব্য চালু নেই