চাটমোহরে লিচুর ব্যাপারীরা ফরিয়াদের কাছে জিম্মি ॥ বেগ পেতে হচ্ছে বাগান মালিকদের

পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের লিচু এলাকা হিসেবে সু-খ্যাতি অর্জন করেছে। প্রতি বছরে এ এলাকা থেকে কোটি টাকার লিচু বিক্রি হচ্ছে। মুখরোচক ও সু-স্বাদু টসটসে লাল লিচু দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। প্রতিদিন কয়েকটি পয়েন্ট থেকে ট্রাক যোগে লিচু চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে।

লিচুৃ আধাপাকা থেকে শুরু করে বিক্রির শেষ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা এ এলাকায় আসে। সারাদিন কয়েকটি গ্রামের স্থানীয় বাজারে লোকজন সমাগম বেড়ে যায়। বাহিরের ব্যাপারীরা বাগান কেনা ও লিচু সরবরাহ করায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

এ সময় স্থানীয় কিছু ফরিয়ার কারণে ব্যাপারীরা জিম্মি হয়ে পড়েন। কারণ একটি বাগান পাতা থেকে লিচু ভাঙা পর্যন্ত প্রায় ৫ বার হাত বদল হয়। লিচু চাষীরা সরাসরি লিচু বাগান ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করতে পারেন না। তারা স্থানীয় চিহ্নিত ফরিয়াদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েন। অনেক সময় চাষীরা বাগান বিক্রি করে টাকা তুলতে বেগ পেতে হয়।

তার কারণ হিসেবে জানা গেছে, ব্যাপারীরা বাগানের লিচু কিনতে গেলেই ফরিয়ারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। বাগান মালিকরা ব্যাপারীদের কাছে লিচু বিক্রি করলেও টাকা গ্রহণের সময় ফরিয়াদের কাছ থেকে নিতে হচ্ছে। পরে টাকা না পেয়ে ব্যাপারীদের জিঞ্জেস করলে তারা বলেন, টাকা তো ওদের কাছে দিয়ে দিয়েছি।
মহেলা গ্রামের জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মন্ডলপাড়া একটি বাগান বিক্রি করে বিপাকে পড়েছেন। তিনি বাগান বিক্রির টাকা তুলতে না পেরে গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদের লিখিত অভিযোগ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চাষীরা জানান, লিচুর বাগান সরাসরি ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফরিয়াদের কাছে লিচু বিক্রি করতে হচ্ছে। পরে টাকা তুলতে বিরম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া ফরিয়া ও ব্যাপারীদের মাঝের মধ্যে টাকার হিসেব নিয়ে ঝগড়া ও হাতাহাতি করতে দেখা গেছে। টাকা তুলতে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই