চল্লিশে সুস্থ থাকার সহজ উপায়

বয়স পায়ে পায়ে এসে দাঁড়িয়েছে চল্লিশে। বয়সটা কখন এতটা পেরিয়ে গেল বুঝে ওঠার আগেই শরীর জানান দিতে শুরু করেছে নানান অস্বস্তির কথা। বেশিরভাগ সময়ে সেই সব সিগনাল আপনি এড়িয়ে যান, কিন্তু সময় থাকতে যদি এখনই সচেতন হন, তাহলে ভবিষ্যতে ব্রাউনি পয়েন্ট আপনিই পাবেন।

আর যাঁদের সেডেন্টারি লাইফস্টাইল, তাঁদের তো আরও বেশি করে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ক্রমেই যে মধ্যপ্রদেশ স্ফীত হচ্ছে, অথবা ঘাড়ে-কোমরে ব্যাথার প্রকোপ বাড়ছে তার মোকাবিলায় এবার কোমর বেঁধে নেমে পড়ুন। তবে তার জন্যে আপনাকে প্রতিদিন জিমে ছুটতে হবে না। কয়েকটি সহজ উপায়েই ফিট থাকতে পারবেন আপনি।

সকালে ওঠার অভ্যেস যদি আপনার না থাকে, তাহলে অকারণে ভোরবেলা অ্যালার্ম দিতে যাবেন না। বরং প্রতিদিন যে সময়ে ওঠেন তার থেকে দশ পনেরো মিনিট আগে উঠে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ, স্ট্রেচিং এবং যোগাসন অভ্যেস করুন। প্রতিদিন আধ ঘণ্টা করলেই দেখবেন ঝরঝরে লাগছে।

যদি অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে চান এবং মেটাবলিক রেট বাড়াতে চান, তাহলে লো বা মিডিয়াম ইনটেনসিটি কার্ডিও এক্সারসাইজ করতে পারেন।

সারাদিনে ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টার মতো হাঁটুন। শুরুতে ধীরে হাঁটলেও আস্তে আস্তে বাড়াতে থাকুন হাঁটার গতি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে পারলে খুবই ভালো হয়, তবে কাজের চাপে যদি সেই সময়টা বের করতে না পারেন, তাহলে সন্ধেবেলা অফিস থেকে ফেরার সময়ে খানিকটা পথ হেঁটেই ফিরুন। অফিসে চা-কফি বা পানির জন্যে অন্য কাউকে না বলে, নিজেই উঠে গিয়ে নিয়ে আসুন।

একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। এক্সারসাইজ শুরু করার আগে ওয়ার্ম আপ এক্সারসাইজ করে নেবেন।

হাঁটতে অথবা জগিং করতে যাওয়ার সময়ে সঙ্গে এক বোতল জল নিন। মাঝে মধ্যে অল্প জল খাবেন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।

খালি পেটে এক্সারসাইজ করতে যাবেন না। এক্সারসাইজ করার ১৫ মিনিট আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন। এক মুঠো আমন্ড বা একটা পেয়ারা অথবা আপেল খেতে পারেন।

ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ অথবা ডিনারের ঠিক পরেই ওয়র্কআউট করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।

এই কথাটি অনেক বার হয়তো শুনেছেন… তাও বলছি। তার একটাই কারণ ফিট এবং মেদহীন থাকার এ এক মোক্ষম উপায়। লিফ্ট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন। একটি ছ’তলা বাড়ি যদি আপনি দিনে পাঁচ বার ওঠানামা করতে পারেন, তাহলে তা ৩০ মিনিটের জগিংয়ের সমান।

একটা কথা না বললেই নয়। এক্সারসাইজের সময়ে রুটিন মেনে চলতেই হবে। নইলে কোনও লাভ হবে না। তিনদিন এক্সারসাইজ করার পর মনে হল অনেক হয়েছে দু’দিন একটু জিরিয়ে নিই, তাহলে হবে না। ইচ্ছে না করলেও, নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে। শরীর খারাপ হলে আলাদা কথা। শুরুতে যদি ১৫ মিনিট দিয়ে শুরু করেন, তাহলে টার্গেট রাখুন মাসের শেষে গিয়ে আপনি টানা ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করবেন। এভাবে করলে দেখবেন, কাজে উত্সাহ পাচ্ছেন।



মন্তব্য চালু নেই