চলনবিলে বোরো ধান কাটা শুরু হলেও শংকায় কৃষক
চলতি মৌসুমে পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলের অধ্যুষিত উপজেলাগুলোতে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। চলনবিলের বিস্তৃর্ণ মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সোনালী ধান। মাঠের সব জমির ধান এখনো না পাকলেও কিছু কিছু জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে বোরো ধান কাটা। বিশেষ করে, চলনবিলাঞ্চলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, গুরুদাসপুর, সিংড়া, তাড়াশ, আত্রাই, উল্লাপাড়া উপজেলার আশপাশ এলাকার ধান কাটা শুরু হয়েছে।
এদিকে চলতি মৌসুমে কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টির কারণে শংকায় রয়েছেন চলনবিলাঞ্চলের বোরো চাষীরা। গত কয়েক দিনে চলনবিল এলাকার উপর দিয়ে কয়েক দফা বয়ে গেছে ঝড় ও শিলা বৃষ্টি। এর ফলে যে ধান গুলো সোনালী বর্ণ ধারন করেছিল সেগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অপরদিকে নাবি ধানের ফুল ঝড়ে যাওয়ায় ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন কৃষকরা।
সরজমিনে দেখা যায়, চাটমোহরসহ চলনবিলের মাঠে ইতি মধ্যে ব্রি-২৮, মিনিকেটসহ আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাটমোহর উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ১’শ ৪০ হেক্টর। অর্জন হয়েছে ৮ হাজার ২’শ ৫০ হেক্টর। গত বছরের চেয়ে এ বছর আবাদ বেড়েছে ৮’শ ৯০ হেক্টর। গত মৌসুমে চাটমোহরে বোরো ধানে অর্জন ছিল ৯ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিন চাটমোহর ছাইকোলা ইউনিয়নের বোয়াইলমারী গ্রামে কৃষকের বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের দৃশ্য চোখে পরে। বোয়াইলমারী গ্রামের আবুল সরকারের বাড়ির উঠানে কর্তব্যরত শ্রমিকেরা জানান, মিনিকেট ধানের ফলন বিঘায় ১৫ থেকে ১৮ মন। আঠাশ জাতের ধানের ফলন বিঘায় ১৮ থেকে ২৫ মন। হলুদ বরণ ধান ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে আছেন এ এলাকার কৃষকেরা। বড় ধরণের বিপর্যয় না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষকেরা।
মন্তব্য চালু নেই