চরম দুর্ভোগে মৌলভীবাজারবাসী

আসন্ন ঈদে সিলেট রোটে স্পেশাল ট্রেন না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মৌলভীবাজারের ঘরেমোখা মানুষ। জেলার ৩টি স্টেশনের মধ্যে শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়ার আসন স্বল্পতা ও টিকিট কালোবাজারীদের দৌরাত্মের মধ্য দিয়ে যাতায়াত হলেও অপর একটি স্টেশন শমশের নগর থেকে কোন সীট পাচ্ছেন না যাত্রীরা।

ঈদে স্পেশাল ট্রেন না থাকায় আর আসন সীমিত থাকায় বাড়ি ফিরতে নানা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। এমনকি যে ট্রেনগুলো আছে সেগুলোর টাইম শিডিউল পুরোপুরি ঠিক না থাকায় এবং চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়াতে বাড়ি ফিরতে তারা চরম দুর্ভোগ পড়েছেন তারা।

অপরদিকে শমশেরনগর স্টেশনে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে কুমিল্লা, লাকসাম ও ফেনির যাত্রীদের জন্য স্টপেজ থাকলেও নেই কোন আসন। যাত্রীদের চট্টগ্রামের টিকেট কিনে অথবা আসনবিহীন অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে সেই দুর্ভোগ আরও বাড়ছে যাত্রীদের।

সরেজমিন শমশেরনগর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, লাকসাম, ও ফেনি স্টেশনের যাত্রীরা নির্ধারিত স্টেশনের টিকেট চেয়েও পাচ্ছেন না। স্টেশনে স্টপেজ থাকলেও দীর্ঘ দিন ধরে কোন আসন বরাদ্দ হয়নি। এ কারণে যাত্রীরা আসনবিহীন টিকেট কিনে অথবা দিগুণ দামে সরাসরি চট্রগ্রাম স্টেশনের টিকেট কিনতে হচ্ছে। তাও যাত্রী সংখ্যা অর্ধশত থাকলেও শমশেরনগর থেকে চট্টগ্রামের আসন রয়েছে মাত্র ১৫টি।

জানা যায়, প্রায় ১০/১২ বছর আগে কুমিল্লা এলাকায় আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার পর ট্রেনের বগি কমে যাওয়ায় এই তিনটি স্টেশনের আসন বাতিল করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার কিছুদিন পর আন্তঃনগর পাহাড়িকা ট্রেনে নতুন বগি সংযুক্ত হলেও আর শমশেরনগর থেকে কুমিল্লা লাকসাম ও ফেনি স্টেশনের জন্য আসন বরাদ্দ করেনি রেলওয়ে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা জানান, শমশেরনগর থেকে কুমিল্লার ভাড়া ১৩৫ টাকা, লাকসামের ভাড়া ১৫০ টাকা ও ফেনির ভাড়া ১৮০ টাকা হলেও যাত্রীরা সরাসরি চট্টগ্রামের ভাড়া ২৪০ টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হয়।

শমশেরনগর স্টেশন মাস্টার আব্দুল আজিজ বলেন, শমসেরনগর স্টেশন থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি রাজস্ব আয় হয়। যাত্রী সংখ্যাও অনেক বেশি। দশ বছর ধরে রেলওয়ের সংশিষ্ট বিভাগকে মৌখিক ও লিখিতভাবে আন্তঃনগর পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেসে কুমিল্লা, লাকসাম ও ফেনির জন্য আসন বরাদ্দের আবেদন করা হলেও আজও আসন বরাদ্দ হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই