চরম উত্তেজনা! সর্বোচ্চ গতির বোলার পাওয়া গেল কুমিল্লায়!
দিনভর উত্তেজনা আর বিপুল চাঞ্চল্য কুমিল্লার মাঠে। নিজেকে মেলে ধরে সাফল্যের শিখড়ে উঠে যাওয়ার সিড়ি সামনে। সবার চোখে জ্বল জ্বল করছে সে দৃশ্য। মনে অদম্য সাহস। হ্যাঁ সাফল্যের সিঁড়ির নাগাল ঠিকই পেয়ে যান নোয়াখালীর ইয়াসির আরাফাত মিশু। প্রতি ঘন্টায় ১৩২ কিলোমিটার গতিতে বল করে সবাইকে নির্বাচক, কোচ সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন মিশু। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড যৌথভাবে আয়োজিত ‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট’ কার্যক্রমে মিশুই সবচেয়ে বেশি গতির বোলার। মিশু ছাড়াও কুমিল্লার মাঠ থেকে সিলেক্ট হয়েছেন আরো দুই জন ফাস্ট বোলার। কুমিল্লার লাকসামের শরিফুল ইসলাম ও লক্ষিপুরের হাসান মাহমুদ। তারা উভয়েই ১২৭ কিলোমিটার গতিতে বলে করতে পারেন।
বুধবার দিনভর কুমিল্লা স্টেডিয়ামে অনষ্ঠিত ‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট’ কার্যক্রমে ৪ শ ৮৬ জন ফাস্ট বোলার অংশ নেন। এর কুমিল্লা ও আশপাশের ৬ জেলার। কুমিল্লায় অংশগ্রহণ কারীদের মধ্যে ২ জন নারী ফাস্ট বোলারও ছিলেন। রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন ১ হাজার ১ শ ৭৯ জন। দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়া এ কার্যক্রমে এসএমএস, ইন্টারনেটে লগইন ও রবি ওয়াকইন সেন্টারে গিয়ে আবেদন করেছিলেন অংশগ্রহণকারীরা।কুমিল্লা স্টেডিয়ামে সকাল ৮ টায় রবি ফার্স্ট বোলিং হান্টিংয়ের উদ্বোধন করেন কুমিলা জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কলোল, উপস্থিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির পরিচালক জালাল ইউনুস চৌধুরী কুমিলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ইউসুফ জামিল বাবু, কুমিল্লা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আরফানুল হক রিফাত, কুমিলা জেলা ক্রিকেট কমিটির সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সাধারন সম্পাদক নাজমুল আহসান রোমেন,
কুমিলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ন সম্পাদক মাহাবুবুল আলম চপল ও রবির কমিউনিকেশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবীর ।ফাস্ট বোলার হান্টিংয়ে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় কোচ মাহাবুব আলী জাকী, সহকারী কোচের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম এবং নির্বাচক ছিলেন এহসানুল হক সিজান। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী ৬ জেলার ৬ জন কোচ দায়িত্ব পালন করেন।
এরমধ্যে কুমিলা জেলা কোচ সারোয়ার জাহান, চাঁদপুরের শামিম ফারুকী, নোয়াখালীর স্বদেশ মজুমদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শামিম, ফেনীর রবিন, লক্ষিপুরের মনির।কুমিলা জেলা কোচ সারোয়ার জাহান জানান, অংশগ্রহণকারী প্রতিভাবানদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়েছে। তারা একটি সুযোগ পেলো নিজেকে মেলে ধরার। সবাই একটি বা ২টি বল করে নিজের করা বলের গতি মেপে নিতে পেরেছেন। যারা ভাল করেছে তাদের দিয়ে ৮/১০টি বল করিয়ে যাচাই করা হয়েছে ভাল করে।
উল্লেখ্য, ফাস্ট বোলার হান্টের প্রাথমিক কার্যক্রম শেষে চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য বাছাইকৃত ৬৪ জনকে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ক্যাম্পে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। এদের পর্যবেক্ষণ ও রেকর্ড সংগ্রহের জন্য জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির কোচ নিযুক্ত থাকবেন। তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিসিবির এইচপি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করা স্টুয়ার্ট কার্পিনেন।এরপর যাচাই-বাছাই শেষে শীর্ষ ১২ (১০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী) বোলারকে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। সেই ১২ জন যেন জাতীয় পর্যায়ে খেলতে পারেন সে জন্য তাদের হাই পারফরম্যান্স টিমের সঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই