চমক দেখালেন সেই শুভাগতই
বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও ভারতের ‘এ’ দলের মধ্যকার ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-১ এ হারের পর প্রথম ৩ দিনের ম্যাচে মঙ্গলবার ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০১৪-১৫ মৌসুমের রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন কর্ণাটক দলের বিপক্ষে তিনদিনের ম্যাচ খেলতে নামে মুমিনুল-নাসিররা। মহীসুরের শিখনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায়।
ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিক বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ৭৬ রানেই টপঅর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা।
দলীয় কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নেন ওপেনার রনি তালুকদার। এক রান স্কোরবোর্ডে যোগ হতেই ফেরেন দলপতি মুমিনুল হক। আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় ব্যক্তিগত ৫ রান করে দলীয় ২৭ রানের মাথায় বিদায় নেন। একই রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে শূন্যরানে সাজঘরের পথ ধরেন সৌম্য সরকার।
মাত্র ২৭ রানে টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানের বিদায়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন নাসির হোসেন ও লিটন দাশ। কিন্তু, দলীয় ৪১ রানের মাথায় নাসির হোসেনও (৮ রান) ফিরে যান। লিটন দাশের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। ১১টি চারের সাহায্যে অর্ধশতক হাঁকাতে তিনি ৫০ বল মোকাবেলা করেন।
দলীয় ৭৬ রানের মাথায় ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে লিটন ফিরে গেলে তাসকিনের বদলি হিসেবে যাওয়া কামরুল ইসলাম রাব্বিকে নিয়ে জুটি গড়েন শুভাগত হোম। তবে, ব্যক্তিগত ৮ রান করে রাব্বিও ফিরে যান দলকে ১০৪ রানের মাথায় রেখে। জুবায়ের হোসেনও শুভাগতকে সঙ্গ দিতে না পেরে ব্যক্তিগত ৪ রান করে বিদায় নেন।
নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে শুভাগত খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। ৬৫ বল মোকাবেলা করে তিনি তার ইনিংসটি সাজান। শেষ দিকে সাকলাইন সজীব অপরাজিত ১৫ রান করেন।
স্বাগতিক দলটির হয়ে একাই ৫ উইকেট তুলে নেন প্রসিধ কৃষ্ণ।
এ ম্যাচ শেষে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্গালুরুতে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ৩ দিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৩০ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবে সৌম্য-বিজয়-নাসির-লিটনরা।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলঃ মুমিনুল হক (অধিনায়ক), নাসির হোসেন (সহ-অধিনায়ক) এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান রুম্মান, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, রুবেল হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আরাফাত সানি, জুবায়ের হোসেন লিখন, রনি তালুকদার, সাকলাইন সজীব, শফিউল ইসলাম, আল আমিন হোসেন ও শুভাগত হোম চৌধুরী।
মন্তব্য চালু নেই