চমকের নাম তাইজুল, তাসকিন, সৌম্য, আরাফাত
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের উইকেট বাউন্সি। পেসারদের কদর হবে সেখানে অনেক বেশি। যে কারণে যে কারণে অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে বিতর্কিত পেসার রুবেল হোসেন, আল আমিন হোসেনের সঙ্গে চমক হিসেবে বিশ্বকাপের দলে ঠাঁই পেয়ে গেলেন চট্টগ্রামের উঠতি পেসার তাসকিন আহমেদ।
তবে বাউন্সি উইকেট হোক আর যাই হোক, স্পিনারদেরও যে কদর কমে যাবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে, তা কিন্তু নয়। এ কারণে বিশ্বকাপগামী দলে ঠাঁই পেয়ে গেলেন দুই সম্ভাবনাময়ী স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং আরাফাত সানি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক এবং খেলেছেন মাত্র একটি ম্যাচ। তবুও বিশ্বকাপের দলে নাম চলে এলো মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের। মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণেই নির্বাচকদের ভাবনায় সেরা ১৫ জনের তালিকায় ঠাঁই মিলে গেলো তার।
তাইজুল ইসলামের আবির্ভাবটাই তো যেন স্বপ্নের মতো। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেই ঢাকায় সাকিব আল হাসানের রেকর্ড ভেঙ্গে হয়ে গেলেন এক ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক (আটটি)। এরপর পুরো টেস্ট সিরিজেই ছিল তার অসাধারণ আধিপত্য। শুধু তাই নয়, ওয়ানডে অভিষেকটাও হলো এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এবং অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করার একমাত্র রেকর্ডটি হলো তাইজুলের।
আরাফাত সানি দীর্ঘদিন ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে সফল স্পিনার। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে করেছেন অসাধারণ বোলিং। শুধু তাই নয়, দলের প্রয়োজনের সময় ব্রেক থ্রু এনে দিতে বেশ পারঙ্গম আরাফাত। বিশ্বকাপে তাই তারমত কার্যকরী স্পিনারের ওপর আস্থা রাখতে দ্বিধা করেননি নির্বাচকরা।
মাত্র তিনটি ওয়ানডে খেলা তাসকিন আহমেদ ছিলেন না জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজেও। তবুও দলে ঠাঁই পেয়ে গেলেন এই পেসার। মূলতঃ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি উইকেটের সুবিধা নেওয়ার জন্যই তাকে দলে রাখা হয়েছে।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান স্কোরার হলেন সৌম্য সরকার। ১৫ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬১৫ রান। গড় ৪১ করে। সঙ্গে সেঞ্চুরি একটি এবং হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ৪টি।
বাংলাদেশের চূড়ান্ত দল
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লহ রিয়াদ, নাসির হোসেন , সাব্বির রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, আল আমিন হোসেন, তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি ও তাইজুল ইসলাম।
মন্তব্য চালু নেই