চবির শাহজালাল হল থেকে ৫৩ ছাত্রলীগ কর্মী আটক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহজালাল হলে তল্লাশি চালিয়ে ছাত্রলীগের ৫৩ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক পুলিশ শাহজালাল হল চারপাশ থেকে ঘিরে রেখে অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রলীগ কর্মীদের আটক করে।
একই অভিযানে শাহজালাল হলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক সবাই ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের কর্মী বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহজালাল হল থেকে ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে কেউ মামলার আসামি হলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে পুলিশ আটককৃতদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেনি।
জানা যায়, চট্টগ্রামের প্রাক্তন মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থিত ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএএফসি এবং ভিএক্স গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই বিরোধে গত ১৪ ডিসেম্বর দুই গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হন।
এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের একাধিক সিনিয়র নেতা বিরোধ নিরসনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সর্বশেষ রোববার ভোরে হল দখলের চেষ্টায় পুনরায় দুই গ্রুপে উত্তেজনা এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কয়েক দফা গুলি এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর সকাল পৌনে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ঠেকাতে ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপ মূল ফটকে তালা দেয়। এর পরপরই সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ারুল আজিম আরিফের অফিস কক্ষেও তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এ সব ঘটনার পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ চবির শাহজালাল হলে অভিযান শুরু করে বিকেল ৪টা থেকে। এ সময় হলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের কমপক্ষে ৫৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
এ সময় হল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি রামদা, ২টি চাপাতি, ১০টি লোহার রড, লাঠিসোঁটা এবং বস্তাভর্তি পাথর। বর্তমানে পুলিশের অভিযান শেষ হলেও ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মন্তব্য চালু নেই