অবরুদ্ধ উপাচার্য

চবির প্রধান ফটকে তালা দিল ছাত্রলীগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিজেদের কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক গ্রুপ ‘সিএফপি’ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা নিহত তাপস পালকে নিজেদের কর্মী দাবি করে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে এ বিক্ষোভ করে।

এসময় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেয়। এর ফলে চবিতে কেউ প্রবেশ করতেও পারছেন না আবার বের হতেও পারছে না। বিক্ষোভে চবি ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক ‘সিএফসি’ গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি অমিত কুমার বুস।

তারা এ হত্যকাণ্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তথা উপচার্যকে দায়ী করেছেন। উপচার্যের মদদপুষ্ট ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে দাবি করে এখানে তার ইন্ধনেরও অভিযোগ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ‘ছাত্রলীগের একটি পক্ষ তাপস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রধান ফটকে তালা দিয়েছে বলে শুনেছি। সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।’

উল্লেখ্য, রোববার সকালে শাহজালাল হলের সামনে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির বগি ভিত্তিক দুই গ্রুপ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তাপস পাল নামে নিজ দলের এক কর্মীকে গুলি করে মেরেছে ছাত্রলীগের অপর গ্রুপ। চবি শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক গ্রুপ ‘ভিএক্স’ ও ‘সিএফপি’ গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের ২৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত শাহ জালাল হল থেকে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ মওদুদীর লেখা জিহাদী বইও উদ্ধার করেছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ৬৫ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে পুলিশ। তবে হত্যার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

অবরুদ্ধ চবি উপাচার্য:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিজেদের কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় উপচার্যকে অবরুদ্ধ করেছে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ।

রোববার বেলা ২টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। এর ফলে উপাচার্যসহ প্রশাসনিক ভবনের অনেক কর্মকর্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

চবিচবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) ফরহাদ হোসেন খান অবরুদ্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছাত্রলীগের একটি অংশ প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোন বিরোধ নেই, তাদের ক্ষোভ উপাচার্য ও প্রক্টরের প্রতি।’

প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ‘সিএফপি’ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রক্টরের পদত্যাগ ও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ছাত্রলীগের ভিএস গ্রুপের নেতা আশরাফুজ্জামান রাশার গ্রেপ্তার দাবি করেছে। এসময় তারা উপাচার্যের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নিজেদের কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক গ্রুপ ‘সিএফপি’ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা।

বিক্ষোভে চবি ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক ‘সিএফসি’ গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসু। তারা এ হত্যকাণ্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তথা উপচার্যকে দায়ী করেছেন। উপচার্যের মদদপুষ্ট ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে দাবি করে এখানে তার ইন্ধনেরও অভিযোগ করেন।



মন্তব্য চালু নেই