চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ইতিহাসের যাত্রা শুরু
বাংলাদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই প্রথম আইন বিভাগের জন্য সর্বাধুনিক অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সুবিধা সম্বলিত পৃথক ভবন নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।আজ শনিবার ৩ অক্টোবর সকালে দেশের সর্ববৃহৎ এ আইন অনুষদ ভবন উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধান বিচারপতি এস.কে.সিনহা।তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব মিজানুর রহমান,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য ২০১১ সালের আগস্ট মাসে ভবনের নকশা অনুমোদন হয় এবং ২০১১ সালের ৩ নভেম্বর ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১২ সালের মার্চ মাসে। চট্টগ্রামের বিখ্যাত শিল্পগ্রুপ এ কে খান ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ৬০ হাজার বর্গফুটের দ্বিতল ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নবনির্মিত আইন অনুষদের অ্যাকাডেমিক ভবনের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষই সুপরিসর এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং ওয়াইফাইসহ ইন-বিল্ট মাল্টি মিডিয়া প্রজেকশন ও অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম সম্বলিত।মুটিং এর জন্য রয়েছে বিশেষভাবে নির্মিত ‘মুটিং রুম’।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর আধুনিকতার অপূর্ব সমন্বয়ে নির্মিত এ ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে পৃথক কমন রুম, প্রার্থনা কক্ষ, ক্যান্টিন, আধুনিক ফিটিংসের পর্যাপ্ত ওয়াশ রুম। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রয়েছে উচ্চ ক্ষমতার নিজস্ব জেনারেটর এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য নিজস্ব ‘ওয়াটার পিউরিফিকেশন সিস্টেম’।বিশ্বমানের সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি কনফারেন্স সেন্টার যা কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং আলোক প্রক্ষেপণের সুবিধা যুক্ত । শিক্ষকদের জন্য ফুল-ফার্নিশড কক্ষ নিয়ে নির্মিত হয়েছে আলাদা ভবন। শিক্ষকদের চেম্বার ছাড়াও রয়েছে ডিন এবং চেয়ারম্যানের পৃথক অফিস কক্ষ ও মিটিং কক্ষ। রয়েছে আধুনিক শিক্ষক লাউঞ্জ এবং গেস্ট লাউঞ্জ। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ভবনটিতে একটি মুট কোর্ট বা প্রতীকি আদালত,সুবিশাল কম্পিউটার ল্যাব, একটি সেমিনার কক্ষ, ৫শ’ ৫০ আসন বিশিষ্ট মিলনায়তন স্থাপন করা হয়েছে।
নিজেদের অনুষদ উদ্বোধন উপলক্ষে আজ শনিবার সকাল থেকেই আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ উদ্দীপনা দেখা গেছে।শিক্ষার্থীরা মন্তব্য করেন “আজ শুধু আইন বিভাগ না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার গর্ব ও আনন্দের দিন।”
মন্তব্য চালু নেই