চট্টগ্রামে অবৈধ সিএনজি উচ্ছেদ অভিযান : জনজীবনে দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর এলাকায় রেজিস্ট্রেশনবিহীন অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ২৭শে মে বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এই অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধে তৎপর হয়ে উঠে। অবৈধ অটো বন্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমে যাওয়ায় নগরীতে চলাচলকারী মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

দীর্ঘ সময় গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এর আগে মঙ্গলবার রাতেই চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার সবকটি উপজেলায় অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন সিএমপি।

বুধবার সকাল থেকে সড়কে রেজিস্ট্রেশনবিহীন অটোরিকশা পেলেই তাৎক্ষণিকভাবে তা জব্দ করার ঘোষণা দেয়া হয়। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মাসুদ-উল-হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার ১৫ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে প্রায় চার হাজার নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে। মালিক ও চালকদের এসব অটোরিকশা রাস্তায় না নামানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্দেশ মোতাবেক সিএমপি ও জেলা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহানগর এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। ফলে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সকালের দিকে বিভিন্ন জায়গায় কিছু অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি। নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় বৈধভাবে প্রায় ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে। এর বাইরে এএফআর, চট্টমেট্রো-গ-১২ লেখা নম্বরপ্লেট নিয়ে চলছে আরও প্রায় চার হাজার অটোরিকশা। যা চলাচল বন্ধের জন্য হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম মহানগর সিএনজি অটোরিকশা ও অটোটে¤পা শ্রমিক ইউনিয়ন।

হাইকোর্ট চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করার জন্য নির্দেশ দেন। চট্টগ্রাম অটোরিকশা, অটোটে¤েপা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ স¤পাদক হারুনুর রশীদ ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে এই রিট আবেদন করেন। তখন হাইকোর্ট এক নির্দেশনায় এসব অটোরিকশা চলাচলে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তবে পূর্ণাঙ্গ শুনানির পর হাইকোর্টের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন। আদালতের আদেশ হাতে আসার পরই সিএমপি সেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান উপ পুলিশ কমিশনার মাসুদ উল হাসান।



মন্তব্য চালু নেই