ঘাটাইলে হেমন্তের শুরুতেই শীতের আমেজ, সর্বত্রই চলছে প্রস্তুতি
শরৎ শেষে হেমন্তের ফুল-ফসলের গন্ধ চারদিকে। ঋতু পরিক্রমায় শীত আসতে এখনও বাকি কিন্তু ফরিদপুরে শীতের আমেজ এখনই। কয়দিন থেকে রাত ও ভোরে শীতের আগমনীবার্তা টের পাওয়া যাচ্ছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল জনপদে। ভোরে পড়ছে হালকা কুয়াশা। শেষ রাতে ঘাটাইলবাসীর শরীরে উঠছে মোটা কাঁথা বা চাদর। পরিবারের বাক্সবন্দি করে রাখা লেপ-তোষক বের করছে ঠিক করার জন্য। আবার কেউ নতুন ভাবে তৈরি করছেন। তাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ঘাটাইলের ধুনকররা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ফিরে ধুনকররা তৈরি করেছেন লেপ-তোষক।
বিশেষ করে গত দুই দিন থেকে পাখি ঢাকা ভোরে ধুনকররা তুলা, কাপড় ও ধুনার নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। কেউ সাইকেলে, কেউ বা ভ্যানে আবার কেউ পায়ে হেঁটে ঘুরছেন উপজেলার গলিতে-গলিতে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটি বাড়িতে লেপ বা তোষক তৈরি করলেও অর্ডার নিচ্ছেন পরের দিনের। ধুনকরের টুং টাং আওয়াজ আর বাতাসে উড়ে বেড়ানো তুলা জানিয়ে দিচ্ছে শীত আসছে। ফলে জেলার লেপ তোষক তৈরির দোকানগুলোতেও অতিরিক্ত কারিগর কাজ শুরু করেছেন। পাড়ায়-মহল্লার পাশাপাশি দোকানেও কাজ চলছে পুরোদমে।
উপজেলা শহরের ধুনকর জহিরুল ইসলাম আমাদের সংবাদকর্মীকে জানান, এক সপ্তাহ আগেও তেমন কাজ-কর্ম ছিল না কিন্তু গত সপ্তাহের ভোরের হালকা কুয়াশায় শীতের আমেজ বিরাজ করছে। এতেই লেপ তৈরির অর্ডার শুরু হয়েছে। দোকানে আসার পর আজই ১০টি অর্ডার মিলেছে বলে জানান তিনি। অপর ধুনকর নাসির উদ্দিন বলেন, এখন কেবল শুরু। আর কয়েকদিন পর রাত-দিন সমানতালেই কাজ করতে হবে। বর্তমানে পুরনো লেপ ভেঙে নতুনভাবে তৈরির অর্ডারই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
সেই সঙ্গে গার্মেন্টসের তুলা দিয়ে তৈরি লেপও বিক্রি হচ্ছে। যার বিক্রি মূল্য সিঙ্গেল ৫শ টাকা। আর ডাবল লেপ হাজার টাকায়। এছাড়া ভালো তুলা দিয়ে নুতনভাবে একটি সিঙ্গেল লেপ তৈরি করতে খরচ পড়ছে ৯শ টাকা, আর ডাবল লেপ তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১৪শ থেকে ১৬শ টাকা। আর সিঙ্গেল তোষক ৪শ ৫০ টাকা এবং ডাবল ৮শ ৫০ থেকে ৯শ টাকায় তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি। নাসির উদ্দিন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার লেপ তোষকে ১শ থেকে ১শ ৫০ টাকা বেশি লাগছে। কারণ কাপড় ও তুলার দাম বেড়েছে। এছাড়া বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কারিগরদের মজুরিও বেড়েছে। এরপরও শীত নিবারণের জন্য মানুষ আগে থেকেই অর্ডার দিচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই