ঘাটাইলে গণতন্ত্রের নজির দেখাল শিশুরা

শিশুদের মাঝে গণতান্ত্রিক চেতনা ও নেতৃত্ব সৃষ্টির ল্েয ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ৩০ মার্চ (বুধবার) টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল গণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিশুদের ভোট খ্যাত এ নির্বাচনে প্রার্থী, রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট সবই ছিল বিদ্যালয়ের শিার্থীরা। তফসিল ঘোষণা, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভোট গ্রহণ এবং ফলাফল ঘোষণা কোন কিছুই বাদ ছিল না এ নির্বাচনে। ভোটকে যথারীতি ছিল ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালি, গোপনস্থানে ভোটদান এবং ব্যালট বাক্স।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৩৫ জন শিার্থী ৮ টি কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বনিদ্বতা করে। সকাল ৯টা হতে দুপুর ১১টা পর্যন্ত ৫ টি করে ১০ টি বুথে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। ২০৯৫ জন শিশু ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।
ভোটে নির্বাচিত আট জন কাউন্সিলর বিদ্যালয়ের পরিবেশ সংরণ, পুস্তক ও শিা সামগ্রী, স্বাস্থ্য, বৃরোপণ ও বাগান তৈরি, পানি সম্পদ, আপ্যায়ন ও অভ্যর্থনা এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে পৃথকভাবে ৮ টি দপ্তরের দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মোঃ আহসান হাবিব শিশির, নির্বাচন কমিশনার ছিলেন আরো তিন জন, এদের মধ্যে দুই ছাত্র আর একজন ছাত্রী। এছাড়াও প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে সাতজন শিার্থী।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার দশম শ্রেণির ছাত্র মোঃ আহসান হাবিব শিশির জানান, এ ভোটের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করে ভোটগ্রহন করতে হয়। শিকদের সহায়তায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। ভোটের বিষয়ে অভিভাবক আমিনুল ইসলাম বলেন, অনেক সময় বড়দের ভোটের েেত্র অবৈধভাবে ভোট নেয়ার  প্রবনতা ল্য করা যায়। কিন্তু শিশুদের মাঝে আন্তরিক পরিবেশে ভোটগ্রহণের যে নজির দেখা গেল তা সত্যিই প্রসংশনীয়। এতে করে তাদের মাঝে যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি ও প্রকৃত গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটবে।
ঘাটাইল জিবিজি কলেজ শাখা ছাত্র সংসদের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক আবু সাইদ রুবেল নির্বাচন পরিদর্শন করতে  আসে এ সময় তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে স্কুল কেবিনেট নির্বাচন করা জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু টাঙ্গাইলের অন্যান্য উপজেলাতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও আমাদের ঘাটাইলে অন্যান্য স্কুলে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক প্রথমে স্কুলে রাজনীতি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না এ অযুহাতে নির্বাচন দেয়নি। তাই আমরা গত সোমবার তার সাথে আলোচনায় বসে নির্বাচন করার জন্য অনুরুধ করি তখন সে আজ বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে তা ঘোষনা দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক মোঃ আজহারুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাচনমুখী এ দেশের একজন নাগরিক। সুতরাং আমি চেয়েছিলাম প্রত্য ভোটে নেতা নির্বাচিত হোক। শিশুদের এ নজিরবিহিন সুষ্ঠু ভোট দেখে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসুক। এ নির্বাচন শিশুদের মাঝে দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিা অফিসার এ কে এম শামছুল হক আমাদের সংবাদকর্মীকে জানান, স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের মাধ্যমে শিার্থীরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। যা ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র চর্চার পথকে সুগম করবে।


মন্তব্য চালু নেই