ঘাটাইলের সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, নানাবিধ অনিয়মের কারণে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়টি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। বিদ্যালয়ের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির চার সদস্য আদালতে মামলা করেছেন। লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ,জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও। বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির একটি অংশ এ অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলা ও লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ২০% মহিলা শিক্ষক বিধান থাকলেও বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে কোন মহিলা শিক্ষক নেই। মহিলা শিক্ষকের কোটা পুরনে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা থাকা সত্যেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন খালিদ পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যকে অবগত না করে গোপনে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সাক্ষাৎকার ছাড়া কমিটির সদস্যদের সই জাল করে প্রদান করা হয়েছে বলে মামলার ও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত গোলাম মোস্তাফার এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন গোপনে ডিজি অফিসে প্রেরন করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান। অথচ গোলাম মোস্তফা টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার জিতাশ্বরী রাশিদিয়া দাখিল মাদরাসায় কর্মরত আছেন। তার ইনডেস্ক্র নম্বর-৩৪৫২৭৮। উক্ত মাদরাসা থেকে তিনি ২০১৫ সালের মার্চ মাসের বেতন উত্তোলন করেছেন। তবে এ ব্যাপারে গোলাম মোস্তফা কোন মন্তর্য করতে রাজি হননি। অভিযোগ গুলিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন খালিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্বসাৎ ,অনিয়ম, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন স্বেচ্চাচারিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব নানাবিধ জটিলতার কারনে ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন বিদ্যালয়টি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসী বিদ্যালয় সংক্রান্ত আনিত অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন খালিদ তার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন, একটি কুচক্রী মহল নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
মন্তব্য চালু নেই