ঘরোয়া ফুটবলে নিষিদ্ধ হলেন জাহিদ
শেষ পর্যন্ত ঘরোয়া ফুটবলে নিষিদ্ধই হতে হলো সম্ভাবনাময়ী ফুটবলার জাহিদ হোসেনকে। মোহামেডানের টাকা নিয়ে ঠিকমত না খেলা এবং এ কারণে ক্লাবের টাকা ফেরত না দেওয়ায় এক বছরের জন্য ঘরোয়া ফুটবলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
৩০ জানুয়ারি শেষ হয়েছে ফুটবলারদের দলবদল। এর মধ্যে জাহিদ কোনো ক্লাবে নাম লেখাতে পারেননি। ৫ জানুয়ারি নেয়া বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে বা দেশের বাইরের অন্য কোন ক্লাবের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবে না জাহিদ। যদিও তার নাম বাফুফেতে জমা দিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কিন্তু মোহামেডানের টাকা ফেরত না দেয়ায় তার নিবন্ধন স্থগিত রেখেছে বাফুফে।
বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি জাহিদকে ফিফার স্ট্যাটাস অ্যান্ড প্লেয়ার্স ট্রান্সফারের ২৫.৩ ও ২৫.৪ এবং বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কোডের ৬৭.৪ ধারায়, মোহামেডান থেকে ২০১৩-১৪ মৌসুমে নেয়া পারিশ্রমিকের (৩৩ লাখ টাকা) অর্ধেক বাফুফের মধ্যস্থতায় ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। টাকা ফেরত না দিলে ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত যে কোনো দেশের ঘরোয়া ফুটবলে নিষিদ্ধ থাকবে সে। চুক্তিপত্র অনুযায়ী ফেরত দেওয়ার এই টাকার অঙ্ক সাড়ে ১৬ লাখ।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গত মৌসুমে মোহামেডান একাধিকবার কারণ দর্শানোর চিঠি দিলেও তা আমলে নেননি জাহিদ। আবার মৌসুম শেষ না হতেই অন্য ক্লাবের সঙ্গে কথাবার্তা পাকা করেন। মোহামেডান বিষয়টি বাফুফেকে অবহিত করে। বাফুফে ক্লাবের সঙ্গে সমঝোতায় পৌছানোর জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিল জাহিদকে। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ক্লাবের সঙ্গে সমঝোতা না করায় কঠিন দন্ড পান তিনি।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাহিদ এখন নিষিদ্ধ। যদি মোহামেডান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয় তাহলেই সে কোনো ক্লাবে নাম লেখাতে পারবে।’
মন্তব্য চালু নেই