ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে গেল গেল করার মানে নেই : পূজারিণী
টলিউডের নতুন মুখ তিনি। নায়িকা সুলভ চেহারা বা মুখশ্রী না থাকলেও ইতিমধ্যেই তাঁর অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের প্রভাবিত করে ফেলেছেন। তিনি অভিনেত্রী পূজারিণী ঘোষ। ‘পোস্ট মাস্টারের’ মতো ছবিতে অভিনয় করে ইতিমধ্যেই দর্শকদের কাছে চেনা মুখ হয়ে গেছেন তিনি। এবারে রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার বা বাদুড়দের নিয়ে তৈরি ছবি ‘কুহেলি’তেও অভিনয় করেছেন তিনি। এই ছবিতে রীতিমতো সাহসী চরিত্রে অভিনয় করতে বিন্দুমাত্র পিছপা হননি তিনি।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, ছবিতে চরিত্রের খাতিরে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। স্পষ্ট ভাষায় সাফ জানালেন, ‘একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমার কোনো দ্বিধা নেই। আমি যেটা খাই সেটা পর্দায় দেখানো যাবে, আমি কাঁদলে সেটা পর্দায় দেখানো যাবে। কিন্ত আমি বিবাহিত হয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে শোব সেটা সিনে পর্দায় দেখানো নিয়ে এত গেল গেল রব তোলার কোনো মানে আছে বলে আমি মনে করি না। আসলে এখানের লোকেরা অত্যন্ত ন্যারো মাইন্ডের। হলিউডে হলে আমরাই তোফা তোফা করব। কিন্তু নিজের শহরের একটি ছবিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য থাকলেই হা-হুতাশ করব- এটা হতে পারে না।’
জীবনে আভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে একরকম দৃঢ় প্রতিজ্ঞ পূজারিণী জানালেন, ‘অভিনয়টা না থাকলে মানুষ অ্যাকসেপ্ট করবে না। ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে নিজের অল্পদিনের কেরিয়ার।’ কিন্তু তার মধ্যেই নিজেকে দর্শকদের দরবারে তুলে ধরতে পেরে খুশি পূজারিণী বললেন, ‘এটাকে আমি আমার ভাগ্য ছাড়া আর কিছু বলতে পারি না। অনেক মেয়েই আছে যারা এই জায়গায় পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে আমি যেটুকু পেয়েছি তা আমার কাছে স্বপ্ন।’
থিয়েটার জগত থেকে উঠে এসেছেন পূজারিণী। খোলামেলা আলাপচারিতায় জানিয়ে দিলেন, ‘আমি খুব ভাবনাচিন্তা করেই জীবনে অভিনয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে আমি অভিনয়ের স্কুলে পড়াশোনা করে অভিনয় শেখার বিষয়ে বিশ্বাসী নই। আমার মনে হয় না, অ্যাক্টিং স্কুল একজনকে অভিনয় শেখাতে পারে। যে কারণে আমার মনে হয়েছিল থিয়েটার হলো সব থেকে ভালো অপশন।’
থিয়েটারের মঞ্চ থেকেই উঠে এসেছেন পূজারিণী। বললেন, ‘বরাবরই অভিনয়টা নিয়েই ভেবেছি। আমি জানি এই ইন্ড্রাস্ট্রিতে নায়িকা হওয়ার মতো আমার মধ্যে কিছু নেই। শুধু অভিনয়টাই করতে পারি। তাই অভিনয়কে সঙ্গি করেই এগিয়ে যেতে চাই।’
মন্তব্য চালু নেই