ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ

ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর সোমবার। ঘটনাবহুল এ দিনটি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ উপলক্ষে সোমবার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি।

১৯৭৬ সাল থেকে এ দিনটি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ নামে জাতীয়ভাবে পালন করা হতো। এদিন সরকারি ছুটি থাকতো। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই দিনের সরকারি ছুটি বাতিল করে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে আবার তা বহাল করে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার এই দিনে সরকারি ছুটি বাতিল করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পটপরিবর্তন ঘটে। এর আড়াই মাস পর ৩ নভেম্বর শুরু হয় সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের ঘটনা। ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় নিহত হন জাতীয় চার নেতা। এসব ঘটনার একপর্যায়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দি হন। ৭ নভেম্বর অপর এক অভ্যুত্থানে মুক্ত হন তিনি। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, কর্নেল এ টি এম হায়দারসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা সেদিন নিহত হন।

৭ নভেম্বর উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় রবিবার (০৬ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত।’

তিনি বলেছেন, ‘দেশমাতৃকার চরম সংকটকালে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে স্বপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। এই অরাজক পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতারঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং জিয়াউর রহমান মুক্ত হন।’

পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতাও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী স্বত্বা লাভ করে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘বিদেশি শক্তির এ দেশীয় অনুচররা তাদের উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে হত্যা করে। জিয়া শাহাদাতবরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’

দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশবাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।



মন্তব্য চালু নেই