গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ালেই আন্দোলন
গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ালে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। যেদিন বাড়ানো হবে সেদিন থেকেই আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে বালুরমাঠে আয়োজিত সমাবেশে এ হুমকি দেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী জানুয়ারি থেকে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম প্রায় দ্বিগুণ করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটও এই ইস্যুতে সরকার পতন আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করছে।
এ প্রসঙ্গে সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ালে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। কি, কমসূচি দিলে পালন করবেন তো?’ উপস্থিত জনতা হাত উঁচিয়ে ‘হ্যাঁ’ বলে চিৎকার করে সম্মতি দিলে খালেদা বলেন, ‘সাবাস, সাবাস।’
এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে খুন হচ্ছে। খুনের সঙ্গে সরকার এবং সরকারি দলের লোক জড়িত। র্যাব এই লোকগুলোকে ধরে নিয়ে নৃসংশভাবে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। তাদেরকে শীতলক্ষ্যা নদীর মাঝখানে ডুবিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন পর তাদের লাশ ভেসে উঠেছে। কিন্তু খুনিরা সবাই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। লোক দেখানোর জন্য মাত্র কয়েকজনকে ধরেছে। এর আসল হোতা যারা তাদেরকে ধরেনি।’
তিনি আরো বলেনম ‘আওয়ামী লীগ এলেই খুন গুম দুর্নীতি বেড়ে যায়। তাদের সঙ্গে যারা রয়েছে তারা প্রত্যেকেই মানুষ খুন করেছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে স্বৈরাচার এরশাদ। এই এরশাদের নাম ছিল বিশ্ব বেহায়া। স্বঘোষিত বেইমান। এরা এক সাথে হলে দেশ ও মানুষের কী হতে পারে? এজন্য তাদের হাত থেকে দেশকে বের করতে হবে।’
৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে আবারো অবৈধ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা ভাগবাঁটোয়ারার ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। তারা আমাদেরকেও ভাগ দেয়ার কথা বলেছে। আমরা বলেছি, আমরা ভাগবাঁটোয়ায় বিশ্বাস করি না। জনগণের ভোটে বিশ্বাস করি না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এই নির্বাচনকে বয়কট করেছে। বিদেশিরাও একে সমর্থন দেয়নি।’
সরকারি ব্যাংকে দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কৃষি ব্যাংকে ৬শ কোটি, জনতা থেকে ৬শ কোটি টাকা চুরি গেছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বলছেন এই টাকা অতি সামান্য টাকা। ১৭ হাজার কোটি টাকা কুইক রেন্টাল থেকে চুরি করেছে তারা।’
তিনি বলেন, ‘দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এখন কোথাও গ্যাস পায় না। এর কারণে বহু শিল্প কারখানা বন্ধ হয়েছে। গ্যাস বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো যাবে না। যদি বাড়ানো হয় তাহলে আমরা আর বসে থাকবো না।’
আওয়ামী লীগের গত কয়েক বছরে নতুন শিল্প কল কারখানা হয়নি বরং বেকারত্ব বেড়েছে বলে দাবি করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘দেশে এক্সপোর্ট কমে যাচ্ছে। আমারা সবকিছু রপ্তানি করতাম। তারা দেশকে সামনের দিকে নিতে পারে না পিছনের দিতে নিয়ে যায়।’
মন্তব্য চালু নেই