গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় খাল খনন না করেই পালিয়েছে ঠিকাদার
কল্যাণ কুমার চন্দ, বরিশাল : গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় বিএডিসির খাল খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ খাল খনন না করেই এক ঠিকাদার পালিয়ে গেছে। কাজ না করেও ঠিকাদাররা সমুদয় বিলের টাকা উত্তোলনের চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভলপমেন্ট সেন্টার (বিএডিসি)র মাধ্যমে সরকার কৃষকদের সেচ সুবিধার জন্য আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরাল থেকে ছয়গ্রাম পর্যন্ত দুই কিলোমিটার খাল খননের কাজ শুরু করা হয়। বিএডিসি’র প্যাকেজ-১ এর আওতায় ময়মনসিংহের মেসার্স আরএম এন্টারপ্রাইজ ও খুলনার রাতুল এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে সাড়ে আট লাখ টাকা বরাদ্দে ১ কিলোমিটার করে মোট ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দে দুই ঠিকাদারের মাধ্যমে দুই কিলোমিটার খাল খননের কার্যাদেশ দেয়া হয়। বিএডিসি’র এসও মজিবর রহমান মাধ্যমে ওই ঠিকাদাররা নিজেরা সাইটে না এসে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে খাল খননের কাজ শুরু করেন। সিডিউল অনুযায়ী খালের তলায় ১০মিটার প্রস্থ ও তিন মিটার গভীর হিসেবে ৩২ ফুট ১০ ইঞ্চি চওড়া ও বর্তমান অবস্থার চেয়ে ১০ফুট পর্যন্ত গভীর করার কথা থাকলে কাজের শুরুতে ঠিকাদার সিডিউল অনুযায়ি কাজ না করায় স্থানীয় কৃষকেরা এর প্রতিবাদ করেন। সিডিউল অনুযায়ি কাজ না করায় ২৫ এপ্রিল স্থানীয় বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা খাল খননের কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর খাল খনন না করেই রাতের আধাঁরে মেশিনপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা।
সংশ্লিষ্ট অফিসের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারের লোকজন পালিয়ে গেলেও বর্তমানে এসও মজিবর রহমানের মাধ্যমে সমুদয় বিল উত্তোলনের জোর চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে এসও মজিবর রহমান জানান, বিএডিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরবর্তীতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অপরদিকে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের তিন কিলোমিটার খাল খননেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সহযোগী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। সূত্রমতে, তিন কিলোমিটার খাল খননের জন্য ঢাকার ঠিকাদারের কাছ থেকে বরিশালের জনৈক এক ঠিকাদার কাজটি ক্রয় করেন। তার কাছ থেকে আবার কাজটি ক্রয় করেন মাহিলাড়া গ্রামের জনৈক শওকত সরদার। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, শওকত নামেমাত্র কাজটি শুরু করেই মেশিনপত্র নিয়ে ওই এলাকার জমিতে ঘের নির্মান কাজে লেগে পড়েছেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট কাজের এসও’র সাথে আতাত করে শওকত পুরো বিল উত্তোলনের চেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছেন। ফলশ্রুতিতে খাল খননের কাঙ্খিত সুফল ভোগ করতে পারছেনা এলাকাবাসী।
মন্তব্য চালু নেই