গোয়েন্দা পুলিশ নিয়ে গেলো রিজভীকে

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর রিজভীকে পুলিশ প্রহরায় এ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এর আগে রিজভীর অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন পল্টন কার্যালয়ের অফিস কর্মকর্তা রেজাউল করিম।

তিনি জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করে বমি, পেটে ব্যথা শুরু হয় এবং পেটের পীড়া দেখা দেয়।

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা রেজাউল করিম রিজভীর অসুস্থতা ও তাকে ডিবি পুলিশ আটক করার খবর নিশ্চিত করে বলেন, রিজভী হঠাৎ করে রাত সাড়ে ৯টায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার চিকিৎসা চলছে। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

শনিবার রাত ১২টার দিকে কার্যালয়ের তিন তলা থেকে রিজভীকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিবেদক সুমন মাহমুদ।

সুমন মাহমুদ বলেন, “পুলিশ সদস্যরা কার্যালয়ে ঢুকেই রিজভীকে উদ্দেশ করে বলেন- স্যার আপনি অসুস্থ। এখানে আপনার চিকিৎসা হবে না। আপনি যেখানে ভালো মনে করবেন সেখানেই আমরা আপনাকে নিয়ে যাব।”

“এ সময়ে রিজভী গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান- আপনারা আমাকে কোথায় নিয়ে যেতে চান। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তখন বলেন- আপনি চাইলে আমরা স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাব।”

এরপরই বিছানা থেকে হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় রিজভীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পুলিশ সদস্যরা নিয়ে যান বলে জানান সুমন মাহমুদ।

এ বিষয়ে পল্টন থানায় যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা মুনিরুল ইসলাম বলেন, রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে একই তথ্য দিয়েছেন।

এ আগে অসুস্থ বোধ করলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গ্যাস্ট্রোকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এএসএমএ রায়হান কার্যালয়ে গিয়ে রিজভীকে চিকিৎসা দেন।

চিকিৎসক চলে যাওয়ার পরপরই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কার্যালয়ে ঢোকেন।

অধ্যাপক রায়হান সাংবাদিকদের বলেন, “বমি হওয়ায় রোগীকে স্যালাইন দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখতে বলেছি।”

নয়া পল্টনের কার্যালয় গত কয়েকদিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন রিজভী। এই কার্যালয়ে রিজভী ছাড়া নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদসহ কয়েকজন অফিস কর্মীও রয়েছেন।

গত ২৭ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালে রাজধানীর তোপখানা রোডে একটি বাস পোড়ানোর ঘটনায় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভীসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় গাড়ি পোড়ানোর মামলা দায়ের করে পুলিশ। এরপর থেকে রিজভী নয়া পল্টনের কার্যালয়েই থাকছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই