গোল করে দলকে জেতালেন ম্যারাডোনা
৫৪ বছর বয়সেও ফুরিয়ে যাননি দিয়েগো ম্যারাডোনা। কলম্বিয়ায় শান্তির জন্য আয়োজিত এক প্রীতি ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জিতিয়ে সেটাই প্রমাণ করলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তী।
শুক্রবার বোগোটার টেকো স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আমেরিকার সাবেক গ্রেট খেলোয়াড়দের নিয়ে এক প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ম্যারাডোনার দল ২-১ ব্যবধানে জয় পায়। আর্জেন্টিনার হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলা ম্যারাডোনা ১৯৮৬ বিশ্বকাপে দেশকে শিরোপা জিতিয়েছেন। শুক্রবার প্রীতি ম্যাচেও গোল করে দলকে জয় উপহার দেন ফুটবলের বরপুত্র।
শুক্রবার ম্যাচের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যারাডোনা জানিয়েছেন, শান্তির জন্য আয়োজিত ম্যাচে তিনি গোল করতে চান। মাঠে সেই কথার প্রতিফলনও ঘটিয়েছেন তিনি। দলের হয়ে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করেন ম্যারাডোনা। ম্যারাডোনার দলের হয়ে অপর গোলটি করেন সাবেক কলম্বিয়ান বংশোদ্ভুত আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও আলেসান্দ্র।
প্রীতি ম্যাচে ম্যারাডোনা ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার আরও অনেক গ্রেট খেলোয়াড় অংশ নেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আর্জেন্টিনার গ্যালভান রে, হোসে লুইস ব্রাউন , প্যারাগুয়ের রবার্তো ক্যাভানাস, ভেনেজুয়েলার লুইস মেন্ডোজা।
ম্যাচটি আয়োজন করেছেন মানবাধিকার-কর্মী ও কলম্বিয়ার সাবেক সিনেটর পিয়েদাদ কর্ডোভা। সহায়তায় ছিলেন বোগোটার মেয়র গুস্তাভো পেত্রো।
ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ম্যারাডোনা বলেন, ‘কলম্বিয়ার নারী-পুরুষ সবাইকে শক্তি ও সাহস যোগাতে আমরা এখানে এসেছি, তাদেরকে বিনোদিত করতে এসেছি। কলম্বিয়ায় যথেষ্ট সহিংসতা হয়েছে, আর নয়। আমরা শান্তি চাই। এজন্য আমি হৃদয় দিয়ে কাজ করতে চাই।’
প্রসঙ্গত, কলম্বিয়া সরকার ও দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী রেভলিউশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া এর (ফার্ক) মধ্যে চলমান শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়।
১৯৬৪ সালে ফার্ক বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ৫ দশক ধরে সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি-প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে দেশটির সরকারের সঙ্গে।
মন্তব্য চালু নেই