গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাচ্ছেন? যা করবেন
যখন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাচ্ছেন, তখন আপনার কী করা উচিত? সবকিছু ভুলে গিয়ে তখন সোজা হাঁটতে বেরিয়ে পড়াই কি সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত?
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে জানিয়েছেন, আগাম নির্বাচন ডাকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন যখন তিনি ছুটিতে থাকার সময় ওয়েলসে তার স্বামীর সঙ্গে হাঁটতে বের হয়েছিলেন, ঠিক তখনই। তাহলে হাঁটা কি মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে? কিভাবে ও কেনো? বৃটেনের একটি টিভি চ্যানেল আইটিভিতে এরকমই হাঁটার ওপর জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান- ‘বৃটেন্স বেস্ট ওয়াকস। ’ তার উপস্থাপক জুলিয়া ব্র্যাডবারি বলেছেন, “হাঁটা মানুষের মন ও কাজের ওপর বড় রকমের প্রভাব ফেলতে পারে। ”
তিনি বলেন, “হাঁটা শুধু শরীর চর্চাই নয়, এ সময় মানুষ গভীরভাবে চিন্তাও করতে পারে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকতেও এর বড় ভূমিকা রয়েছে। ”
এজন্যে দেখা গেছে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করেন তারা লোকজনকে বেশিরভাগ সময়েই সুযোগ মতো শরীর চর্চা বিশেষ করে হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ঘরের বাইরে একটি চেয়ার নিয়ে বসে থাকলে সেটি সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে না কিন্তু হাঁটতে গেলেই সেটা সহজ হয়ে যায়- এর পেছনে কি জাদু কাজ করে থাকে?
বিশেষজ্ঞ জুলিয়া ব্র্যাডবারি বলছেন, “আসলে এর পেছনে অনেক কিছুই রয়েছে। ” তিনি জানান, “এক গবেষণায় দেখা গেছে মাত্র ১২ মিনিটের মতো হাঁটলেই মানুষের মন চাঙা হয়ে উঠে। এর ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। সৃজনশীলতা বাড়ে। চিন্তার সীমা প্রসারিত হয়। ”
“হাঁটার মধ্যে এমন একটা জিনিস আছে যা অন্য কিছুতে নেই। এ সময় এমন একটা ছন্দ তৈরি হয় যা মানুষকে ঠিকভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করে,” বলেন তিনি।
“হাঁটার সময় আমাদের শরীরে যে ছন্দ তৈরি হয় তার সঙ্গে মানসিক অবস্থার একটা যোগাযোগের সৃষ্টি হয়। তারা তখন পরস্পরের সঙ্গে কথা বলতে পারে। ” তিনি বলেন, “হাঁটার সময় আপনি আপনার চিন্তার গতিতেও পরিবর্তন আনতে পারেন। ”
জুলিয়া ব্র্যাডবারি বলেছেন, “খুব দ্রুত হেঁটে কিম্বা হাঁটার গতি শ্লথ করে দিয়ে চাইলে আপনি আপনার চিন্তার গতিতেও পরিবর্তন ঘটাতে পারেন। ” সূত্র: বিবিসি।
মন্তব্য চালু নেই