গুম-খুন-অপহরণের নায়িকা হাসিনা : গয়েশ্বর

গুম-খুন-অপহরণের মূল নায়িকা শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আয়োজিত ‘অপহরণ, গুম-হত্যা, নির্যাতন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, আতঙ্কিত কর্মজীবী সমাজ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় তিন সেনাসদস্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হোক।

থাইল্যান্ডের ইংলাক সিনাওয়াত্রার উদাহরণ দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, মহামান্য আদালত সাহস যখন দেখিয়েছেন, আরো একটু সাহস যদি দেখান তবে দেশের ভালো হয়। তিনজনকে গ্রেফতার নয়, শুধু একজন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারলে গুম-খুন সব বন্ধ হয়ে যেত।

গয়েশ্বর বলেন, ভারতের নির্বাচন নিয়ে এখন বাংলাদেশের মানুষ উদগ্রীব। শেখ হাসিনার কারণে দেশের মানুষের এই সচেতনতা। কারণ, সবাই জানেন হাসিনার অন্তর দিল্লিতে পড়ে আছে।

আদালত অবমাননার অভিযোগে আদালতের কাছে নিজের ক্ষমা প্রার্থনা প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমি আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইনি। আমি আদালতের পক্ষে বলেছি, তবু আদালত বিব্রত হলে আমি দুঃখিত। কিন্তু বেকুব আইনজীবীরা সেটা অন্যভাবে বলে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন।’

ওয়ান-ইলেভেনে যারা পাশে ছিলেন তারা এখন কোন অবস্থায় আছেন, সেটাতে নজর দিতে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।

এক কারাগার থেকে বের হয়ে আরেক কারাগারে এসেছি- মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, পুরো দেশটাই এখন একটি বৃহৎ কারাগার। এই জেলই শেষ জেল নয়, আরো জেল আছে।

দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, জনগণের কষ্টের টাকায় সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র কেনা হয়। কিন্তু সেখানে ফেলানীর লাশ কাঁটাতারে ঝোলে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষীর গুলিতে আমাদের দেশের মানুষ মারা যায়।

সংগঠনের সভাপতি হাজি মো. লিটনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সরাফত আলী সপু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই