গার্লফ্রেন্ডকে প্রেগনেন্ট করা কী বীরত্বের কাজ? নারীর দেহ দেখলেই ক্ষুধা পাওয়া লম্পট থেকে সাবধান
গার্লফ্রেন্ডকে প্রেগনেন্ট (অন্তসত্ত্বা) করা কী অনেক বড় বীরত্বের কাজ???
এ প্রজন্মের অনেক তরুণ/তরুণীদের মধ্যে আধুনিকতা যেন উতলে পড়েছে। আঁধার রাতে গার্লফ্রেন্ডকে প্রেগনেন্ট (অন্তসত্ত্বা) করে আবার ঢাক ঢোল পিটিয়ে পাবলিক প্লেসে প্রচার করা যেন তাদের কাছে অনেক বড় বীরত্বের কাজ!!! লজ্জা শরমের বালাই নেই যাদের মধ্যে, তাদের দ্বারাই হয়তো এমন কাজ সম্ভব।
গত ২ দিন আগে ফেসবুকে এক প্রেমিক যুবকের একটি স্ট্যাটাস দেখে আমি রীতিমত আঁতকে উঠলাম। ঐ যুবকটি লিখেছিল- “আমার গার্লফ্রেন্ড প্রেগনেন্ট। যদি কেউ জানেন, তাহলে দয়া করে আমাকে জানান কোন হাসপাতালে abortion (গর্ভপাত) করায়।” প্রেমিকের এই স্ট্যাটাস দেখে প্রেমিকা কমেন্ট বক্সে লিখেছিল- “আমি abortion (গর্ভপাত) করাবো না আগেই বলেছি।” এভাবে ফেসবুকের মতো পাবলিক প্লেসে চলতে থাকে প্রেমিক-প্রেমিকার দীর্ঘ তর্কাতর্কি। কমেন্ট বক্সে তাদের ঐ দীর্ঘ তর্কাতর্কি থেকে জানা গেল- মেয়েটি বার বার ছেলেটাকে বিয়ের করার জন্য বলছিল। কিন্তু ছেলেটি এখন কোনো মতেই বিয়ে করতে রাজি নয়। শেষ পর্যন্ত ছেলেটির কথায় মেয়েটি বুঝতে পারল- হয়তো ছেলেটা তাকে কখনো বিয়ে করবে না। তার শরীরটা ভোগ করাই ছিল ছেলেটার উদ্দেশ্য।
আমাদের দু’চোখের আঁড়ালে হয়তো প্রতিদিন বহু মেয়ে তার সতীত্ব হারাচ্ছে। যাদের কারো শেষ পরিণতি হচ্ছে আত্মহত্যা। কিন্তু আত্মহত্যাই কি এর সমাধান??? আমি আগেও বলেছি আবারও বলছি- মেয়েদের প্রতি আমার শুধু এতটুকু দাবী- “প্রিয় বোন, তোমার শরীরটা প্রেমিকের খাদ্যে পরিণত করোনা।” যে ছেলেটির (বিয়ের আগে) তোমার দেহ দেখলেই ক্ষুধা পায়, সে কখনোই ভাল হতে পারে না।
বিঃ দ্রঃ মেয়েটির নিরাপত্তাজনিত কারণে উভয়ের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হলো না।
-আবু রায়হান মিকাঈল এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া
মন্তব্য চালু নেই