গাজীপুরে যুবককে প্রকাশ্যে নৃশংস খুন
গাজীপুর শহরে এক যুবককে চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। দায়ের কোপে তার বাম হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রবিবার সন্ধ্যায় জয়দেবপুর থানা থেকে আনুমানিক ৫’শ গজ দূরে শহরের মাছ বাজার এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম হোসেন (৩০) মহানগরীর উত্তর বিলাশপুর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতের ছোট ভাই শামীম হোসেন জানান, তাদেরসহ ৫-৬টি পরিবার উত্তর বিলাশপুর এলাকায় ২৯ শতক খাস জমিতে বাড়িঘর তৈরি করে ৪০-৪৫ বছর ধরে বসবাস করছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে তাদের উচ্ছেদ করে ওইজমি দখলের চেষ্টা করে আসছিল। এ নিয়ে প্রভাবশালীদের সাথে সেলিমের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে রবিবার সন্ধ্যা টার দিকে সেলিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
শামীম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেলিম রবিবার সন্ধ্যা টার দিকে শহরের রেলগেট এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসা ছিলেন। এসময় বিলাশপুর এলাকার প্রতিপক্ষ কনক, গিয়াস, রয়েল ও টুটুলের নেতৃত্বে ৭-৮জনের একটি দল সেলিমকে জোর করে তুলে জয়দেবপুর বাজারের মাছ বাজার এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা সেলিমকে শত শত মানুষের সামনেই দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে দায়ের কোপে সেলিমের বাম হাত কুনই থেকে বিচ্চিন্ন হয়ে যায়।
বাঁচার জন্যে চিৎকার করে সাহায্য চাইলেও ভয়ে কেউ তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাও করে। এসময় হামলাকারীরাও পিছন থেকে ধাওয়া করে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে বীর দর্পে চলে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে ৭টার দিকে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক সুমন চন্দ্র রায় জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষণের সেলিমের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তাছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে দায়ের কোপ রয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান জানান, খুনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা দিবেন।
মন্তব্য চালু নেই