গাজীপুরে ইকো রিসোর্টে ডাকাতি, বিআরটিএ কর্মকর্তাসহ আহত ১৫

গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে ডকাতি হয়েছে। ডাকাতদের হামলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বিআরটিএর কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ডাকাতরা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ট্যাব ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে অবসর সময় কাটাতে যান বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও পেশার মানুষ। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ৪০-৫০জন ডাকাত একযোগে ওই রির্সোটের বিভিন্ন কটেজে হানা দেয়। ডাকাতরা কটেজের লোকজনকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে নগদ টাকা, ট্যাব, কয়েকটি মোবাইল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

ডাকাতদের হামলায় উত্তরা বিআরটিএ এর উপ-পরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান (৫৫), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এইচ এম তায়েহীদ জামাল শিপু (৪৫), তার গাড়িচালক নূরুল ইসলাম (৫০), গাজীপুরের বিআরটিএ এর ইন্সপেক্টর ওয়াজেদ হোসেন (৫২) ও রিসোর্টের স্টাফ ইসমাইল হোসেনসহ (২২) অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

হামলায় আহত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এইচ এম তায়েহীদ জামাল শিপু জানান, ওই রিসোর্টে শুক্রবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে পিকনিক হওয়ার কথা ছিল। পিকনিকে যোগ দিতে তিনি আগের দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে রিসোর্টে ওঠেন। রাত দুইটা-আড়াইটার দিকে ১০-১২জন সশস্ত্র লোক তাদের কটেজের দরজায় নক করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ধাক্কা মেরে দরজার দুটি ছিটকিনি ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে এবং তার এক মেয়েসহ তিনজনের হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। পরে মারধর করে লাগেজ ও মানিব্যাগ থেকে ২৫ হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল, একটি ট্যাব, একটি ঘড়ি ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা রুমে ঢুকার আগে বাইরে অন্যদের সঙ্গে থাকা তার গাড়িচালক নুরুল ইসলামকেও বেঁধে মারধর করে বলে জানান প্রক্টর এইচ এম তায়েহীদ জামাল শিপু।

আহত ইন্সপেক্টর ওয়াজেদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্ত্রী-সন্তানসহ ১১জন ওই কটেজে বেড়াতে যান। তাদের সবাইকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল সেট,স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয় ডাকাতরা।

জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. নাজমুল হক ভুইয়া জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকার মেডিপ্যাথ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখান থেকে তাদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এসআই জানান, দুর্বৃত্তরা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মোবাইল ফোন ও ২৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। রিসোর্টটির কোনো সীমানা প্রাচীর নেই।



মন্তব্য চালু নেই