গর্ভাবস্থায় মেনে চলুন এই কয়েকটি বিষয়
সন্তান জন্ম দেয়ার মাধ্যমে সৃষ্টির স্বাদ উপলব্ধি করা যায়। গর্ভাবস্থায় আপনার প্রতিটি সিদ্ধান্ত আপনার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব বিস্তার করে। সেই সাথে আপনার শরীরের ভেতরে বৃদ্ধি পেতে থাকা অনাগত সন্তানের উপর ও প্রভাব ফেলে। তাই গর্ভাবস্থায় ভালো থাকার জন্য আপনার নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। গর্ভাবস্থায় ভালো থাকার জন্য কয়েকটি টিপস জেনে নিন।
১। প্রতিদিন বুদ্ধিমানের মত ৫-৬ বার খাদ্যগ্রহণ করুন। পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করুন যেমন- রুটি, পাস্তা, ভাত ইত্যাদি। আস্ত শস্যদানার কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করুন কারণ এতে প্রচুর আঁশ থাকে। প্রোটিনের জন্য মাছ, চর্বিহীন মাংস, ডিম, বাদাম, ডাল এবং দুধ দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণ করুন। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মাছ খান। কারণ মাছে প্রোটিন, ভিটামিন ডি, মিনারেল ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। শিশুর স্নায়ু তন্ত্রের উন্নতির জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড গুরুত্বপূর্ণ।
২। ডাক্তারের পরামর্শে প্রিনেটাল ভিটামিন সেবন করুন প্রতিদিন।
৩। প্রচুর তরল খাবার খান। অন্তত দিনে ৮-১০ গ্লাস। ক্যাফেইন ও কৃত্তিম রঙ দেয়া খাদ্য এড়িয়ে চলুন।
৪। ব্যয়াম করুন সুস্থতার জন্য ও স্ট্রেস কমানোর জন্য। প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট মধ্যম গতিতে হাঁটুন। ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে অথবা ঘরের মধ্যেই হাঁটুন অতিরিক্ত তাপ এড়ানোর জন্য।
৫। প্রতিদিন রাতে ৮ ঘন্টা ঘুমান। যদি আপনার ঘুমের সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৬। আরামদায়ক জুতা পরুন এবং দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার আপনার পা উপরের দিকে উঠিয়ে রাখুন যাতে গোড়ালিতে, পায়ের পাতায় ও পায়ে ফুলে না যায়।
৭। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন প্রকার ঔষধ গ্রহণ করবেন না।
৮। গর্ভাবস্থার প্রথম ছয়মাসে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের প্রয়োজন নেই। শেষের তিন মাসে আপনাকে দৈনিক অতিরিক্ত ২০০ ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে।
৯। গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্য খাওয়া ও ব্যয়াম করা যেমন জরুরী তেমনি যথেষ্ট বিশ্রাম নেয়া ও পর্যাপ্ত ঘুমানো অত্যন্ত অত্যাবশ্যকীয়।
১০। গর্ভাবস্থায় অপাস্তুরিত দুধ, নরম পনির, সঠিক তাপে ও দীর্ঘক্ষণ রান্না না করা মাংস, কাঁচা ডিম, উচ্চমাত্রার মার্কারি যুক্ত মাছ, কাঁচা স্প্রাউট যেমন- অঙ্কুরিত মটরশুঁটি, মূলা ইত্যাদি। এছাড়াও সিফুড ও ফ্রিজের খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ।
যেকোন ধরণের নতুন ব্যয়াম শুরু করার আগে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। রাতের ঘুমের পাশাপাশি দিনের বেলায়ও ৩০-৬০ মিনিট ঘুমান আপনার পা দুটি সামান্য উপরে রেখে। খাদ্য প্রস্তুতের আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। শারীরিক পরিচ্ছন্নতাবিধি মেনে চলুন। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন।
মন্তব্য চালু নেই