গর্ভধারণে সহায়ক ৯ খাবার
বর্তমানে অনেক কমবয়সী নারীদেরও গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা হতে পারে। তবে কম চর্বিযুক্ত এবং কোলেস্টেরলমুক্ত খাবার খাওয়া এর অন্যতম কারণ বলে পুষ্টিবিদরা মনে করেন।
মেরিল্যান্ডের স্টিলওয়াটার ফার্টিলিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা কারা বার্গম্যান এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি গর্ভধারণের পূর্বকালীন ও গর্ভকালীন সময়ের জন্য বেশকিছু পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন।
সেসব খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৯টি খাবারের কথা নিম্নে তুলে ধরা হল। যেগুলো গর্ভধারণ এবং গর্ভকালীন সময়ে উপকারী-
হাড়যুক্ত মাংসের স্যুপ
হাড়যুক্ত চিকেন স্যুপ একটি প্রচলিত খাবার। আমরা প্রায়ই অসুস্থ হলে স্যুপ খেয়ে থাকি। এতে করে অনেকটা আরামবোধ করি। এই চিকেন স্যুপ তৈরি করার সময় সামান্য ভিনেগার দিতে পারেন। এতে করে মাংসের হাড়ের ভেতরে থাকা পুষ্টি উপাদান বের হয়ে স্যুপে মিক্স হবে। হাড়যুক্ত চিকেন স্যুপ খেলে বেশকিছু উপকার পাওয়া যায়। যেমন- ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ঠাণ্ডাজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। শরীরে নতুন কোলাজেন উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। হাড়ের জয়েন্টকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, হাড় ব্যথা ও প্রদাহ উপশম করে। হাড়যুক্ত মাংসের স্যুপ চুল বৃদ্ধি এবং নখকে শক্ত করে। হাড়যুক্ত মাংসের স্যুপে যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ম ও ফসফরাস থাকে সেটা আমাদের শরীরের হাড় গঠন এবং বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কলিজা
প্রতিদিন লাল মাংস খেলে এক মাসে যে পুষ্টি পাওয়া যায়, মাংসের কলিজা বিশেষ করে তৃণভোজী প্রাণির কলিজা মাসে একবার খেলে একই পরিমাণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
কড লিভার অয়েল
এটি একটি সম্পূরক পুষ্টি উপাদান। এটি সাধারণত কড মাছের যকৃত থেকে আহরণ করা হয়। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘ডি’ থাকে। ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘ডি’ স্বল্পতাজনিত সমস্যার কারণে কড লিভার অয়েল ব্যবহার করা হয়।
স্যামন মাছ
সুস্বাদু এই সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড: আইকোসেপেন্টিনোয়িক এসিড (EPA) এবং ডোকোসেহেক্সানোয়িক এসিড (DHA) রয়েছে। এই মাছে যে প্রোটিন এবং চর্বি থাকে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
রাস্পবেরি চা
গর্ভকালীন সময়ে রাস্পবেরি চা পান করলে উপকার পাওয়া যায়। সাধারণত যেকোনো প্রসুতিবিশেষজ্ঞই গর্ভাবস্থায় রাস্পবেরি চা পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সবুজ শাকসবজি
পুষ্টিকর একটি খাদ্য উপাদান। দামে সস্তা এবং রান্না করাও সহজ। পাতাকপি, সবুজশাক, পালংশাক, শালগম ও বিভিন্ন ধরনের শাক রয়েছে। সেগুলোতে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ‘কে’, উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম, এন্টিঅক্সিডেন্ট, জিঙ্ক, ফসফরাসহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে।
দই
সাধারণত টক এবং মিষ্টি দুই ধরনের দই পাওয়া যায়। উভয় দইয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এটা শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
ন্যাটলস চা
নিয়মিত এই চা পান করলে ওজন কমায়। শরীরে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। এতে ক্যারটিনয়েড, ফ্লেভোনয়েড, ভিটামিন ‘বি’, ভিটামিন ‘কে’, স্টেরলস এবং খনিজ উপাদান রয়েছে।
তৃণভোজী প্রাণীর মাংস
তৃণভোজী গবাদি পশুর মাংসে কম চর্বি থাকে। Nutrition Journal এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, তৃণভোজী প্রাণির মাংসে উচ্চ মাত্রার ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। প্রচলিত মাংসের তুলনায় তৃণভোজী গরুর মাংসে বেশ কম ক্যালরি পাওয়া যায় যা কোমরে কম চর্বি জমে আপনাকে প্রাকৃতিকভাবে স্লিম রাখবে।
মন্তব্য চালু নেই