গত ১০ বছরে বাংলা সিরিয়াল যে ৫টি জিনিস শেখালো
বাংলায় ফিকশন ধারাবাহিকের ইতিহাস বছর তিরিশেরও বেশি। যদিও ডেইলি সোপ ব্যাপারটা অনেক পরে এসেছে। বেশ অনেক ক’টা পর্যায় পেরিয়ে এসেছে এই ইন্ডাস্ট্রি। এই মুহূর্তে যে পর্যায়টি চলছে, তারও মোটামুটি বছর দশেক হল। এই দশ বছরে বাংলার দর্শক কিন্তু অনেক কিছুই শিখেছে বাংলা সিরিয়াল থেকে—
. বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে জীবনে সাজগোজটা খাওয়াদাওয়ার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাতসকালে উঠে বরকে বেড-টি দেওয়ার আগে যদি বেনারসী শাড়ি ও এক গা গয়না পরে সেজে না ফেলা যায় তবে দিনটাই মাটি!
২. শ্বশুরবাড়ি যত অত্যাচারই করুক না কেন, কুচুটে ননদ-ছোট জা-বিগড়ে যাওয়া দেওর খুন করে লাশ গুম করে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের ক্ষমা করে দিতে হবে। ‘ঘর এক মন্দির’ ভেবে তাদের সবাইকে আনকন্ডিশনালি ভালবেসে যেতে হবে।
৩. নিজে দাঁড়িয়ে থেকে যদি অন্য কোনও মেয়ের সঙ্গে বরের বিয়ে না দেওয়া যায়, এবং তার পরেও একই বাড়িতে ন্যাকাবোকা-ভালমানুষ সেজে না থাকা যায়, তবে তো জীবনের কোনও মানেই হয় না!
৪. যে সব ছেলেরা সিঙ্গল, জীবনসঙ্গিনীর সন্ধানে রয়েছেন, তাঁদের জন্য অব্যর্থ টিপ— ভাল মেয়েরা শাড়ি পরে, বড়জোর কুর্তি বা সালওয়ার-কামিজ এবং তাদের দুগ্গা ঠাকুরের মতো একঢাল কোমর ছাড়িয়ে যাওয়া ঢেউ খেলানো চুল থাকে। আর বদমায়েশ মেয়ের লক্ষণ শর্ট হেয়ারকাট, বিচিত্র রঙের হাইলাইটস ও ওয়েস্টার্ন ওয়্যার।
৫. বিয়ে এবং শ্বশুরবাড়ি সেবাই মেয়েদের জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই তাদের পড়াশোনা, শিক্ষাদীক্ষার খুব একটা প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন তখনই আছে যদি হঠাৎ শ্বশুরবাড়ির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে কারণ তখন একমাত্র তাকেই ব্যবসার হাল ধরতে হয়।
এই সবগুলিকেই জেনারেল ট্রেন্ডস বলা যায় যা বিগত দশ বছরের ধারাবাহিকগুলিতে বড্ড বেশি করেই চোখে পড়েছে। তবে তার মানে এই নয় যে ব্যতিক্রম নেই কিন্তু সেই ধারাবাহিকগুলি সংখ্যায় খুবই নগণ্য।
মন্তব্য চালু নেই