গণতন্ত্র না ফিরলে পরিণতি ভালো হবে না
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে না ফিরলে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। হরতাল-অবরোধের নামে সহিংসতা বন্ধের জন্য হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। এরপর আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’
রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চলমান রাজনীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু একাডেমি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে হরতাল-অবেরোধ বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক নীতি কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। আমি আশা করবো আইনের প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান থাকলে তারা আদালতের এই আদেশ মেনে নেবেন এবং ‘ভোতা’ হরতাল ও ‘তেঁতো’ অবরোধ তুলে নেবেন।’
সহিংসতা ও সন্ত্রাসের কারণে বিএনপির আন্দোলন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সুরঞ্জিত।
১২ দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটবে-বিএনপিপন্থি আইনজীবীর এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সুরঞ্জিত বলেন, ‘৮০ দশকে এ ধরনের রাজনীতি ছিলো। তিনি যে তারিখের জন্য অপেক্ষা করছেন সে তারিখ রাজনীতিতে আর ফিরে আসবে না। এ দেশের ভাগ্য এ দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। আদালতের আদেশের পর বিএনপি অন্তত বুঝবে চলমান আন্দোলনের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তারা সহিংসতা ছেড়ে রাজপথে বিক্ষোভ করবেন। কিন্তু তারা তা করেননি।’
সুরঞ্জিত বলেন, ‘বিএনপির কর্মীরা সচল নেই নেতারাও সচল নেই। জামায়াতের নির্দেশে খালেদা জিয়া জেলায় জেলায় ফোন করে সহিংসতার নির্দেশ দিচ্ছেন। তার ছেলে তারেক রহমানও জামায়াতের কথা মতো চলেন।’
যতদিন ২০ দলের হরতাল-অবরোধ চলবে আমাদের আলোচনার ‘দোকানও’ ততদিন চলবে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ১৪ দলের নেতা হারুন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু একাডেমির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই