খেলা বন্ধ, তবু স্টেডিয়ামে যারা
১১ জুন ২০১৫। ফতুল্লায় বাংলাদেশ ও ভারতের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা। কিন্তু ফতুল্লার আকাশে এই রোদ, এই বৃষ্টি। পুরোটা দিন এভাবেই কেটেছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের দুই দলের ক্রিকেটাররা কেউ হোটেল ছেড়ে বের হওয়ার সুযোগ পাননি। সকালের নাস্তা শেষে আবারো রুমে গিয়ে ঘুম। ভারতীয় ক্রিকেটারদেরও একই অবস্থা।
ক্রিকেটাররা মাঠে না আসলেও মাঠে আসতে হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও মাঠকর্মীদের। খেলা হোক আর না হোক, তাদের মাঠে আসতেই হয়েছে। এটাই যে পেশা!
আজ শুক্রবার এমনই একটি দিন পার করতে হলো বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। চলছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় চতুর্থ দিনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। কিন্তু সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে আসতে শুরু করেন মাঠকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীদের।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু সকাল সোয়া ৭টায় স্টেডিয়ামের বাইরের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেন, ‘রাত ৩টা থেকে বৃষ্টি পড়ছে। সময়মতো চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর সম্ভাবনা কম।’
দিনের আলো যতই ফুটেছে স্টেডিয়ামে দায়িত্ব পালনের জন্যে মাঠকর্মীরদের ভিড় ততই বেড়েছে। ঢাকা থেকে আসা গণমাধ্যমকর্মীদের বহনকারী বাসও ৯টার আগে স্টেডিয়ামে পৌঁছে যায়। আর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সময়মতো মাঠে পৌঁছে যান। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় তাদের। তবে প্রতিদিন যেভাবে দায়িত্ব পালন করতে হয়, সেরকম কিছু আজ চোখে পড়েনি। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল খানিকটা ঢিলেঢালা।
এদিকে টিভির পর্দায় সরাসরি খেলা দেখানোর দায়িত্বে যারা ছিলেন তারাও মাঠে প্রবেশ করেন সময়মতো। কিন্তু সময় পার করতে নিজেরাই ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠেন তারা। মিডিয়া ভবনের নিচতলা ছিল তাদের খেলার মাঠ। বল জোগাড় হলেও ব্যাট নেই, তাই স্ট্যাম্প দিয়েই ব্যাটিং!
অন্যদিকে গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রিকেটারদের খোঁজ-খবর নিতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীরা বারবার আপডেট দিচ্ছিলেন। আর টিভি রিপোর্টাররা সরাসরি স্টেডিয়ামের সর্বশেষ অবস্থার খবর দিচ্ছিলেন ‘লাইভে’। দেড়টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণার পর সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত।
মন্তব্য চালু নেই