খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। সোমবার জাতীয় সংসদের নাসিমা ফেরদৌসীর (মহিলা আসন-১৩) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেজে রক্ষিত ঋণ তথ্যের ভিত্তিতে বর্তমান (নভেম্বর ২০১৬) সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি ব্যক্তি বা কোম্পানির সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৩২ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ শ্রেণীকরণ বিবরণী মোতাবেক বর্তমানে (সেপ্টেম্বর-২০১৬) ব্যাংকসমূহের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৮ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩, দেউলিয়া আদালত আইন ১৯৯৭ ও পাবলিক ডিমান্ড রিকোভারি অ্যাক্ট-১৯১৩ রয়েছে। খেলাপি বা শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি পৃথক টাস্কফোর্স সেল রয়েছে। উক্ত সেলের মাধ্যমে অর্থ ঋণ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে দায়েরকৃত মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
মুহিত বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও তার বিভিন্ন শাখা অফিসসমূহ কর্তৃক ব্যাংকারদের সঙ্গে বিভিন্ন সমন্বয় সভায় ব্যাংকিং খাতের শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বনের বিষয় ব্যাংকসমূহে প্রয়োজনীয় পরামর্শ বা নির্দেশনা প্রদানের কাজ চলমান । অর্থ-ঋণ আদালন আইন ২০০৩ এর অধীনে আদালতের বাইরে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমেও শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে স্থানীয় ও বিশ্ববাণিজ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক সময়ে সময়ে পুনঃতফসিলীকরণ ও পুনর্গঠন নীতিমালা শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই