খেলনাকে নিরীহ ভাববেন না! এ থেকেই ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ
![](https://archive1.ournewsbd.net/wp-content/uploads/2017/03/image-3-1-900x450.jpg)
উপরের ছবিটি যে সিনেমার স্টিল, তা হলিউডের একটি কাল্ট হরর মুভি। ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চাইল্ডস প্লে’ নামের সেই ছবির কেন্দ্রে ছিল চাকি নামের এক ভৌতিক পুতুল। গোটা সিনেমা জুড়ে তার দাপাদাপি দেখে অনেকেরই পুতুল সম্পর্কে একটা ফোবিয়া তৈরি হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। পুতুল বা খেলনাকে আর ততটা নিরীহ বলে ভাবতে পারেননি ফোবিয়াগ্রস্তরা।
হরর মুভি দেখার ঝক্কি পোহানোর দরকার নেই, ইউরোপিয়ান কমিশনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট পড়লে আপনা থেকে তৈরি হয়ে যেতে পারে পুতুল বা খেলনা সংক্রান্ত আতঙ্ক বা ‘পেডিওফোবিয়া’। ২০১৬ সালে ইউরোপের ‘নন-ফুড কনজিউমার গুডস’ সংক্রান্ত ওই রিপোর্টে খেলনা আর পুতুলকে ‘ইউরোপিয়ান র্যাপিড অ্যালার্ম সিস্টেম’-এর মধ্যে অন্যতম বিপজ্জনক বস্তু হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই এই বাৎসরিক প্রতিবেদনে খেলনা-পুতুল বিপদসীমার বেশ উপরের দিকেই ছিল। এমনকী, গাড়ী বা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির চাইতেও বেশি বিপদ খেলনা থেকে ঘটে বলে এই প্রতিবেদন কয়েক বছর ধরেই দাবি করে আসছিল।
প্রতিবেদনে পরিসংখ্যান উদ্ধার করে দেখানো হয়েছে, ২০১৬-য় খেলনা থেকে ইউরোপে যে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৩৯ শতাংশ চোকিং বা শ্বাসরোধ সংক্রান্ত, রাসায়নিক বিষক্রিয়া ৩৩ শতাংশ, আহতের হার ১১ শতাংশ। খেলনা থেকে শ্রবণশক্তি হারিয়েছে এমন উদাহরণও অবিরল।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই ‘খুনি খেলনা’-র বৃহত্তম অংশই চিন থেকে আগত। কিন্তু এর মধ্যে এমন কিছ খেলনা থেকেই যাচ্ছে, যেগুলি কোথা থেকে এসেছে, তার কোনও হদিশ নেই।
মন্তব্য চালু নেই