খুলনায় যা খাচ্ছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে এখন খুলনায় অবস্থান করছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। উঠেছেন থ্রি স্টার মানের হোটেল সিটি ইনে। খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও খুলনা শহরের সেরা এই হোটেলে মিসবাহ-হাফিজরা আছেন বেশ স্বচ্ছন্দে। হোটেলকর্মীদের অনেকের সঙ্গেই গড়ে উঠেছে ভিনদেশি এই খেলোয়াড়দের হৃদ্যতা। হোটেলের সেবার পাশাপাশি খাবার-দাবার নিয়েও তাঁরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট।

সিটি ইনের রেস্টুরেন্ট ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ও ফুড অ্যান্ড বেভারেজের (এফঅ্যান্ডবি) ব্যবস্থাপক ইমরান হোসেন সোহানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কী খাচ্ছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।

ম্যাচ চলার সময় দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিতে হয় খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বসেই। সকালে আর রাতের খাবারটা ক্রিকেটাররা খান হোটেল। সকালে সাড়ে ৭টার মধ্যেই খাবার টেবিলে চলে যান পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। বেশির ভাগ সময়ই সকালের খাবার সেরে নেন রুটি-পরোটা, চিকেন সসেজ, দুধ আর ফলমূল দিয়ে। ফলের মধ্যে তরমুজ আর কলা-ই মিসবাহদের বেশি পছন্দ বলে জানালেন ইমরান।

রেস্টুরেন্ট ক্যাপ্টেন আশরাফুজ্জামান জানান, সারাদিন ব্যাট-বলের লড়াই শেষে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ হোটেলে ফেরেন ক্রিকেটাররা। সোয়া ৭টা থেকেই আনাগোনা শুরু করেন খাবার টেবিলে। কেউ কেউ যান ৯টার দিকেও। রাতে নানরুটি, চিকেন তন্দুরি, মাটন কড়াই, চিকেন খাজানা, বিফ স্টেক, বিরিয়ানি খেতে দেখা যায় মিসবাহদের। সঙ্গে সালাদ ও জুস তো থাকেই। তবে চিকেন তন্দুরি আর মাটন কড়াইয়ের দিকেই তাঁদের বেশি ঝোঁক।

তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোনো জনপ্রিয় খাবার পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের পরিবেশন করা হয়নি বলে জানিয়েছে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। তবে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের হৃদ্যতা মন কেড়েছে অনেক হোটেলকর্মীরই।

খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে হোটেলে ফিরে আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে কথা হচ্ছিল মোহাম্মদ হাফিজের। ১৩৭ রানে অপরাজিত থাকা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান তখন দেখছিলেন দ্বিশতকের আক্ষেপ ঘোঁচানোর স্বপ্ন। আশরাফের কাছ থেকে দোয়া চেয়েছিলেন হাফিজ। জবাবে রেস্টুরেন্ট ক্যাপ্টেন বলেছিলেন, ‘ইনশাল্লাহ’। পরের দিন হাফিজ সত্যিই পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতকের দেখা। আর তিনি ভোলেননি সেই হোটেলকর্মীর দোয়ার কথাও। তৃতীয় দিন শেষে হোটেলে ফিরেই ফোন করেছিলেন আশরাফকে। সহাস্যে বলেছিলেন, ‘শুকরিয়া’।

এর আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে দুই দফা খাবার বিভ্রাটে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। সেই নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে হইচইও কম হয়নি। বাংলাদেশ সেই দিক দিয়ে গড়ে নিয়েছে যথেষ্ট ইতিবাচক ভাবমূর্তি।তাই আগামীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের দাবিতে খুলনার হোটেল ও সার্বিক ব্যবস্থাপনাও হয়তো রাখতে পারে ইতিবাচক ভূমিকা



মন্তব্য চালু নেই