খুনই হয়েছিলেন জিয়া খান? নায়িকার মৃত্যুরহস্যে নতুন মোড়
২০১৩ সালের ৩ জুন এই উঠতি অভিনেত্রীর আচমকা মৃত্যুতে বলিউডে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কারণ অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চলির ছেলে সুরজের সঙ্গে জিয়ার সম্পর্ক ছিল।
তিন বছর আগে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হওয়া জিয়া খানের মৃত্যুকাণ্ডে আচমকা নতুন মোড়। জিয়া খান আত্মহত্যা করেছিলেন বলে তদন্তে দাবি করেছিল পুলিশ। সম্প্রতি সিবিআই-ও এই অভিনেত্রীকে খুন করার অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে আত্মহত্যা তত্ত্বেই সিলমোহর দিয়েছে। কিন্তু জিয়া খানের মা রাবিয়া খানের নিয়োগ করা ব্রিটিশ এক ফরেন্সিক এক্সপার্ট দাবি করেছেন, জিয়াকে খুন করা হয়েছিল।
২০১৩ সালের ৩ জুন এই উঠতি অভিনেত্রীর আচমকা মৃত্যুতে বলিউডে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কারণ অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চলির ছেলে সুরজের সঙ্গে জিয়ার সম্পর্ক ছিল। ফলে এই ঘটনায় সুরজের নামও জড়িয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে মেয়ের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন জিয়ার মা রাবিয়া। গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুরজের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনে সিবিআই। জিয়া খানের মা রাবিয়া খান বরাবরই দাবি করেছেন, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত চলাকালীন সরকারি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, জিয়াকে খুন করা হয়েছে বলে কোনও প্রমাণ তাঁরা পাননি। গতমাসে বম্বে হাইকোর্টে সিবিআই-ও খুনের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছিল।
কিন্তু সরকারি তদন্তে আস্থা না রেখে জিয়ার মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য এক ব্রিটিশ ফরেন্সিক এক্সপার্টকে নিয়োগ করেছিলেন। সেই বিশেষজ্ঞ জেসন পেইন জেমস দাবি করেছেন, জিয়ার মৃতদেহের মুখে এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। যা প্রমাণ করে, জিয়া আত্মহত্যা করেননি, তাঁকে খুনই করা হয়েছিল।
জিয়ার মেডিক্যাল এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পড়া ছাড়াও জিয়ার মৃতদেহের ছবি খতিয়ে দেখেন তিনি। এছাড়াও সিসিটিভি ফুটেজ এবং মৃত্যুর পরে জিয়ার ঘর যে অবস্থায় ছিল, সেই ছবিও খতিয়ে দেখেন ওই ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ।
আগামিকাল জিয়ার মা এই রিপোর্টটি মুম্বইয়ের একটি সিটি সেশন কোর্টে জমাও দেবেন। এই রিপোর্টকে আদালত গুরুত্ব দেয় কি না, সেটাই এখন দেখার।
মন্তব্য চালু নেই