খিদের জ্বালায় হরিণ শিকার করছে কুকুর

খিদের জ্বালায় হরিণ শিকার করছে রাস্তার কুকুর। রাস্তায় চড়ে বেড়ানো কুকুরের খাদ্যে পরিণত হচ্ছে জয়সলমেরের চিঙ্কারা হরিণ। এমনিতেই চোরাকারবারীদের শিকার এবং গাড়িচাপায় প্রতিবছর বহু হরিণ এভাবেই মারা যায়। কিন্তু ক্ষুধার্ত হিংস্র কুকুরের আক্রমণে প্রায় শতাধিক হরিণ এরই মধ্যে মারা গেছে।

বন অধিদপ্তরের মুখ্য কনজারভেটর গোবিন্দ সাগর ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, কুকুরের আক্রমণে আহত এমন অনেক চিঙ্কারা হরিণকে উদ্ধার করা হয়েছে। সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু হঠাত্‍ রাস্তার কুকুর এমন হিংস্র হয়ে উঠল তা বুঝে উঠতে পারছি না।

তিনি বলেন, এ অঞ্চলে প্রায় ১৫০টি টেন্ট রিসর্ট রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি এখন খোলা রয়েছে, তাও আবার সেখানে তেমন পর্যটক নেই। বেশির ভাগই গরমের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। কুকুগুলো এই রিসর্টগুলোর ফেলে দেয়া খাবার খেয়েই বেঁচে থাকতো। না খেতে পেয়ে এরা এখন ভীষণ হিংস্র হয়ে উঠছে বলে জানান তিনি।

সাগর ভরদ্বাজ জানান, এদের মধ্যে বেশির ভাগ কুকুরই স্থানীয় লোকজনদের বাড়িতে ফসল পাহারা দেয়ার কাজে লাগানো হয়। সেই বাড়িগুলো থেকেও তেমন একটা খাবার মেলে না ওদের। ফলে হরিণ শিকারের দিকে ঝুঁকেছে এখন।

আহত হরিণগুলোকে জোধপুরের রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এখানকার কুকুরদের মধ্যে এ প্রবণতা মারাত্মক বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন ভরদ্বাজ।

বন দপ্তরের রেকর্ড ঘেঁটে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ৫ বছরে অন্তত ২ হাজার চিঙ্কারা হরিণকে জোধপুরের পশু হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার মধ্যে অন্তত ৭৫% কুকুরের আক্রমণে জখম হয়েছে। কিন্তু গৃহপালিত বা রাস্তার কুকুর এভাবে হরিণ শিকার করছে কী করে?

ভরদ্বাজ জানান, গরমের সময় এমনিতেই এ অঞ্চলে জলের খুব অভাব হয়। কুকুরগুলো ছোট ছোট জলের ডোবার কাছে ওঁৎপেতে দল বেঁধে বসে থাকে। হরিণ কাছাকাছি জল খেতে এলেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কপাল খারাপ থাকলে হিংস্র কুকুরের আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারে না।



মন্তব্য চালু নেই